চাকরি থেকে অবসর হয়ে গিয়েছে তাঁর। তবুও শিক্ষকতাকে ভুলতে পারেননি তিনি। সমাজের যে অংশগুলি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠতে পারেনি সেখানে তিনি দূত হয়ে পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের সুজিত চট্টোপাধ্যায় বছরে মাত্র ২ টাকা বেতন নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষ তৈরীর কাজ।
অশিক্ষার আঁধার থেকে তরুণ-তরুণীদের তুলে আনতে তাঁর এই উদ্যোগ। “ফকির মাস্টার” ওরফে “সদাই ফকির” নামেই তাঁকে চেনে পাড়ার সকলে। জলপাইগুড়ি থেকে বিটি পাশ করেন এই মহান শিক্ষক। তাঁর চাকরি জীবনে প্রবেশ ১৯৬৫ সালে। মাত্র ২২ বছর বয়সে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের উত্তর রামনগর গ্রামের সুজিতবাবু ১৯৬৫ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন। স্কুলের একটি ঘরেই পড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুমতি না মেলায় দুস্থ ও অস’হায় ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর বাড়িতে চলে আসে পড়াশোনা করতে। এভাবেই শুরু হল সদাই ফকিরের পাঠশালা। বেশিরভাগই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা আসে তাঁর কাছে পড়তে।
সুজিতবাবু তাঁর এই মহৎ উদ্দেশ্যের কারণে সম্প্রতি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি যে এই বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন সেই খবর পেয়ে খুশি হয়েছেন। তবে এখনও থেমে থাকেনি তাঁর কাজ।