আজ ১২ জুলাই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। প্রতিবছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে বহু মানুষ। কেউবা এই দিনে পুণ্যাজর্নের জন্য পুরীর জগন্নাথ ধামে গিয়ে রথের রশি টানেন। তবে এ বছর করোনা অতিমারির কারণে রাখা হয়েছে বহু বিধি- নিষেধ। তাই অনেক দর্শনার্থী এবার সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
কথিত আছে এই দিনে জগ্ননাথদেব, বোন সুভদ্রা এবং দাদা বলরামকে নিয়ে রথে চড়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী গুন্ডিচার বাড়ির পথে রওনা দেন।
রথযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে বহু অজানা তথ্য তা কি জানেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, আষাঢ় মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা আয়োজিত হয়। প্রতিবছর জগন্নাথ- সুভদ্রা – বলরাম দেবের প্রতিমা তৈরি করা হয় নিম কাঠ দিয়ে। সেখানেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
জগন্নাথ দেবের প্রতিমা তৈরির জন্য শ্যাম বর্ণের নিম কাঠ ব্যবহৃত হয় এবং সুভদ্রা- বলরাম দেবের প্রতিমা তৈরিতে একটু হালকা রঙের কাঠ ব্যবহৃত হয়।
জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমায় জগন্নাথ দেবকে যে কুয়োর জলে স্নান করানো হয় তা কেবল বছরের এই তিথিতেই খোলা হয়। কুয়ো থেকে ১০৮টি কলসীতে জল ভরে তা আবারও বন্ধ করে রাখা হয়।
জগন্নাথ- সুভদ্রা – বলরাম দেবের রথগুলি তৈরির পদ্ধতি এবং পরিমাপ আলাদা হয়। তবে সবকটি রথই নারকেল কাঠ দিয়ে হয়। জগন্নাথের রথ অন্য রথগুলির থেকে বেশ বড় হয়। প্রতি বছরই নতুন করে রথ নির্মাণ করা হয়। এই রথ তৈরির ক্ষেত্রে কোনও ধরনের পেরেক বা ধাতু ব্যবহার করা হয় না।
জগন্নাথদেবের রথ বলরাম- সুভদ্রা দেবীর রথের পিছনে থাকে। জগন্নাথদেবের রথের রঙ হয় লাল- হলুদ। তার রথের নাম নন্দীঘোষ। রথের উচ্চতা ৪৫.৬ ফুট। সুভদ্রা দেবীর রথের নাম দর্পদলন। রথের উচ্চতা ৪৪.৬ ফুট। বলরাম দেবের রথের নাম তালধ্বজ। রথের উচ্চতা ৪৫ ফুট।






‘যা পরিস্থিতি মধুবনীকেও বলতে ভয় লাগছে ইউ লুক গুড ইন শাড়ি! ঋজুর বোকামির দায় যেন আমারও!’ সহ অভিনেতা রাজা গোস্বামীর মন্তব্যে বিত’র্ক টলিপাড়ায়