একটা সময় ছিল না খাবার কেনার মত টাকা, বিদেশের কলেজের পড়া ছেড়ে অভিষেক বচ্চন কে চলে আসতে হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন এর কাছে!

ভাগ্য কখন কার সঙ্গে থাকবে একথা আগে থেকে বলা যায় না। আজ যে রাজা কাল সে ফকির হয়ে যেতেও পারে। আমাদের বলিউড হলো কোটিপতিদের ইন্ডাস্ট্রি। এখানে সকলের পয়সা আছে। তাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন হলেন দ্বিতীয় যার কাছে সর্বাধিক সম্পত্তি রয়েছে।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এই অমিতাভ বচ্চনের জীবনেই নেমে এসেছিল অন্ধকার।ব্যবসায় ধাক্কা খাওয়ার কারণে একটা সময় রাতের খাবার কেনার মত টাকা অমিতাভ বচ্চনের কাছে ছিল না। সে সময় নিজের কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল তাকে। আর যেকথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি বস্টনের কলেজ ছেড়ে চলে আসেন অভিষেক বচ্চন।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গেস্ট হয়ে এসেছিলেন অভিষেক বচ্চন। সেখানেই নিজের পরিবারের এই দুর্দশার কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন তিনি। সময়টা ছিল 90 দশক এবং সেই সময় ব্যবসায় খুব বড় ধাক্কা খেয়ে ছিলেন বিগ বি। রাতের খাবার কেনার মত টাকা ছিলনা অমিতাভ বচ্চন এর কাছে তাই বাধ্য হয়ে নিজের কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল তাকে।

সে সময় আমেরিকার বস্টনে কলেজে পড়ছিলেন অভিষেক বচ্চন। নিজের পরিবারের দুর্দশার কথা শুনে তিনি সবকিছু ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। ‘আমি বস্টনে বসে থাকব আর বাবা এদিকে চিন্তা করবেন রাতের খাবার কিভাবে জোগাড় হবে এ কথা আমি ভাবতেও পারি না। পরিস্থিতি তখন এতটাই খারাপ ছিল। বাবা এই কথা প্রকাশ্যে বলেওছে। ওনার সঙ্গে থাকতে পেরে আমি ধন্য’, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন জুনিয়ার বচ্চন।

বাবার পাশে দাঁড়াবেন বলে সেই সময় কলেজ ছেড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন। সেকথা অমিতাভকে জানাতে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। অভিষেকের অভিনয় জগতে আসার কথা আগেই আলোচনা হয়ে গেছিল। ওই কঠিন পরিস্থিতিতেও কিন্তু অমিতাভ বলেছিলেন অভিষেক বচ্চনকে হিন্দি টা ভালো করে রপ্ত করতে হবে বলিউডে কাজ করতে গেলে। নব্বইয়ের দশকে যখন নিজের ব্যবসাটা মার খেয়েছিল তখন তিনি পরিবারের সাহায্য পেয়েছিলেন। এছাড়াও সেই সময় মহব্বতে সিনেমাতে অভিনয়ের সুযোগ এবং কন বানেগা ক্রোড়পতি সঞ্চালনার প্রস্তাব পেয়ে তিনি মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।