১৯৮০ সালে একটা সিনেমা এসেছিল টলিউডে যেটা দুরন্ত হিট হয়েছিল সেই সময়। পরিচালক ছিলেন তরুণ মজুমদার আর একদম নব্য প্রজন্মকে নিয়ে তৈরি সেই সিনেমা মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিল। টিনেজ রোমান্সকে বাঙ্গালী ধাঁচে দেখিয়েছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। যারা সিনেমাটা দেখেছিলেন তারা বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে।
দাদার কীর্তি, এই সিনেমাটা এখনো মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক। ভীষণ ভালোবাসেন মানুষ এই সিনেমাটি দেখতে। যখনই টিভিতে দেওয়া হয় তখনই কিন্তু দেখেন। হয়তো এখনকার একদম নতুন প্রজন্ম তাদের বয়স ১৫ ১৬ তাদের এই সিনেমা দেখতে ভালো লাগবে না। কিন্তু যাদের বয়স ২৫ পেরিয়েছে তারা সকলেই জীবনে একবার না একবার হলেও দাদার কীর্তি দেখেছে। তাপস পাল মহুয়া রায়চৌধুরী অয়ন ব্যানার্জি দেবশ্রী রায় অনুপ কুমার সন্ধ্যা রায়, টলিউডের এক একজন বিখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীরা ছিলেন এই সিনেমায়। গল্পের রচয়িতা ছিলেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেদার চ্যাটার্জি, অমরনাথ চ্যাটার্জি বিনি মুখোপাধ্যায় সরস্বতী মুখোপাধ্যায় ভোম্বল দা সে এক নস্টালজিয়া ছিল দাদার কীর্তিতে। সহজ সরল কেদারের গলায় উদাত্ত কণ্ঠে গান শুনে প্রেমে পড়েছিল সরস্বতী। আবার বিনি আর অমরনাথের খুনসুটি মানুষের ভালো লাগছিল।
তবে একে একে আমাদের ছেড়ে পরলোকগমন করেছেন এই সিনেমার অধিকাংশ শিল্পীরা। অনুপ কুমার তাপস পাল মহুয়া রায় চৌধুরী অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে গেছেন। অয়ন ব্যানার্জীর এখন কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যা রায় অভিনয় ছেড়েছেন অনেকদিন হলো। আর আজ চলে গেলেন সন্ধ্যা রায়ের স্বামী এবং এই সিনেমার পরিচালক তরুণ মজুমদার।
একা পড়ে রইলেন দেবশ্রী রায়। তাকেই আমরা এখনো পর্যন্ত পর্দায় দেখতে পাচ্ছি সে ছোট পর্দা হোক না কেন। বিনি থেকেই গেল, স্বাভাবিকভাবেই তরুণ মজুমদারের মৃত্যু সংবাদ দেবশ্রী রায়ের মনের মধ্যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে।