কান্নায় গলা ভারী হয়ে আসছে তাঁর, চোখের জল বাঁধ মানছে না যেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। স্বামী বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদারের অবস্থা দিনদিন আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। বহুদিন ধরে দেখা হয়নি তাঁর সঙ্গে। পরিচালক বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে আছেন, তাই কারুর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কাজের সূত্রে সে ভাবে দেখা হয় না তাঁদের। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাঁর ব্যপারে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। ভারী গলায় তিনি জনিয়েছেন, ‘কিছু দিন আগেও ঝাড়গ্রামে লোকেশন দেখতে গিয়েছিলেন। কারণ, কাজ ছাড়া থাকতে পারতেন না। সেখান থেকে ফিরে এসেই কি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন! হঠাৎ কী হয়ে গেল?’ আফসোসের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘কতদিন দেখা হয়নি, কথাও নেই।’
স্বামী আর ফিরবেন না জেনে ঠাকুর ঘর ছেড়ে বেরোচ্ছেন না সন্ধ্যা রায়। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছেন ঘরের মানুষ যেন ঘরে ফিরে আসেন। খাওয়া ঘুম ভুলেছেন স্ত্রী। তিনি বললেন, ‘ কাজ পাগল ছিলেন তিনি। বড্ড শখ ছিল, শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনপদবধূ’ উপন্যাস নিয়ে ছবি বানাবেন। নায়িকা হিসেবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ওঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন। পাশাপাশি, ছবিতে নাচের ভূমিকাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছবিটা আর করা হয়ে উঠল না তাঁর।’
১৯৬৫ সালে ‘একটুকু বাসা’ এবং ‘আলোর পিপাসা’ ছবি দু’টি বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। তারপর থেকে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক ছবি। বহুদিন দেখা নেই, তবু ষাট-সত্তরের দশক ছিল তরুণ মজুমদার-সন্ধ্যা রায় জুটির। ঠাকুর ঘর থেকেই স্মৃতিচারণ করছেন স্ত্রী সন্ধ্যা রায়। বলাইবাহুল্য, তরুণ মজুমদার তাঁর জীবনে স্বামীর পাশাপাশি অভিনয়ে পরিচালক, গুরুর ভূমিকাও পালন করেছেন।