Bodhisotter Bodhbuddhi: আমেরিকার নাসা নয়, ভারতের ইসরোর গবেষক হতে চায় বোধিসত্ত্ব! ‘নিজের দেশকে আগে রাখছে দেখে ভালো লাগলো’, শিশু বোধিসত্ত্বের দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ দর্শকরা

জি বাংলায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি। ধারাবাহিকটি তথাকথিত শাশুড়ি বৌমার কূটকচালি সম্বলিত ধারাবাহিক নয়। মূলত পরিবারের সকলেই এই ধারাবাহিকটি দেখতে পারে কারণ এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সবে মাত্র এক সপ্তাহ হল দেখানো হচ্ছে বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি আর প্রথম সপ্তাহেই ওপেনিংয়ে ৬ পেয়েছে বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে দর্শক রাত দশটার স্লটে এই ধারাবাহিককে খুবই পছন্দ করেছেন।

এই ধারাবাহিকে বোধিসত্ত্ব ভীষণ প্রতিভাবান।মাত্র ৯ বছর বয়সে এসে অনেক কিছু জানে এবং তার ভালো দাদুর লাইব্রেরীতে বই পড়ে সে পৃথিবীর অনেক কিছু শিখে ফেলেছে। এইজন্য তার প্রথম স্কুল থেকে তাকে বার করে দেয়া হয়েছে কিন্তু তার ভাইয়ের স্কুলে তাকে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছে এবং ট্রিপল প্রোমোশন দিয়ে একেবারে ক্লাস সেভেনে ভাইয়ের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বোধির কাকিমা একদম এটা সহ্য করতে পারছেন না এবং তিনি এখন প্ল্যান করছেন যে কিভাবে বোধিকে ওই স্কুল থেকে বার করে দেওয়া যায়।

bodhisotter bodhbuddhi

তবে এর মধ্যে গতকালের এপিসোড একটা মিষ্টি ব্যাপার ছিল যেটা দেখে দর্শকরা ভীষণ অভিভূত হয়ে গেছেন। বোধিসত্ত্বের পাকা পাকা কথা তাদের খুব ভালো লাগে বিশেষ করে এই বয়সে তার যে প্রচুর সাধারণ জ্ঞান এবং উপস্থিত বুদ্ধি তা দেখে সকলের খুব ভালো লাগে। সে মোটামুটি সব কিছুই জানে ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞান অংক বাংলা ইংরেজি সব কিছু নিয়ে। তবে এই ছোট বয়সেই তার মধ্যে গড়ে উঠেছে দেশের প্রতি ভালোবাসা।

তার বাবা যখন কালকে তাকে বলে যে তোমাকে তো বড় হয়ে নাসার সায়েন্টিস্ট হতে হবে, তখন সে বলে যে, আমি নাসা কেন যাব? আমি ইসরোতে যাব আমি ভারতের নাম উজ্জ্বল করব। আমেরিকার নাসাতে না গিয়ে সে ভারতের ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে যোগদান করবে। এটাই দর্শকদের ভীষণ ভালো লেগেছে।

bodhisotter bodhbuddhi

সাধারণত বড় মানুষদের মধ্যে বিদেশে পড়বার বেশি যোগ দেখা যায়। সেখানে একটা বাচ্চা ছেলে ভারতে থেকেই মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছে। এটাই দেশপ্রেমিক দর্শকদের মধ্যে খুব ভালো সাড়া ফেলেছে। তারা বলছেন, এইভাবেই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলছে জি বাংলা।