৮ দশকের কেরিয়ার। ঝুলিতে রয়েছে অজস্র হিট সিনেমা। একাধিক ভিন্ন চরিত্রের অভিনয় করেছেন তবুও আজও মানুষ এক ডাকে তাঁকে চেনে পিসিমা হিসেবে। তিনি হলেন অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়। সদ্য ৯০ বছরে পা দিলেন টলিউডের এই প্রথিতযশা শিল্পী।
কালে কালে টলিউডের অর্ধেকটা দেখে ফেললেন তিনি। উত্থান, পতন এবং উত্তরণ সবকিছুর সাক্ষী থেকেছেন মিতা চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর পর চাওয়া-পাওয়া নিয়ে অকপট জন্মভূমির পিসিমা।
এত বছর পথ চললেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। কতটা পেলেন তিনি? মিতা চট্টোপাধ্যায় জানান না চাওয়ার মধ্যেও প্রাপ্তির তালিকা অনেকটা। সকলেই প্রচুর ভালোবাসা দিয়েছেন, স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই সেই দিক দিয়ে ভাবলে নতুন করে পাওয়ার আর কিছু নেই তাঁর।
জন্মভূমি ধারাবাহিকের পর আরও একাধিক হিট অভিনয় করেছেন মিতা চট্টোপাধ্যায়। দেখতে গেলে সেই সময়কার ধারাবাহিকগুলি থেকে এখনকার ধারাবাহিকগুলির বিষয়বস্তু অনেকটা আলাদা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন প্রবেশ করেছে একাধিক বিয়ে পরকীয়া যা নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। তাই আজকালকার বিষয়বস্তু কতটা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন মিতা চট্টোপাধ্যায়? উত্তরে অভিনেত্রী জানান সমাজ সমীক্ষকরা এর ভালো উত্তর দেবে।
কারণ তারা সমাজের প্রবণতা জানে। কিন্তু তিনি উত্তর দিলে অনেকেই বলবে পুরনো জিনিস আঁকড়ে থাকা যায় না। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে বলতে গেলে সিরিয়ালের দৃশ্য নকল হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে তার বড় একটা প্রভাব পড়ে।
বর্তমানের ধারাবাহিক প্রসঙ্গে নায়িকা উপলব্ধি করেছেন যে যেভাবে সেজেগুজে অভিনেতারা পর্দার সামনে হাজির হন সকলের বাড়ি কি সেরকম পরিস্থিতিতে থাকে? চকচকে গয়না, দামি সেট ছোটদের আকাঙ্ক্ষা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরের বউরাও দামি দামি গয়না পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা কেউ বাস্তবে ভাবতে পারে না। কিন্তু অনেকে এখানে বলতে পারে এটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা। তবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি এটাই বলেছেন যে যদি কারোর ক্ষতি হয় সেই বিনোদনের জন্য দায় তাঁরই হবে।