চলতি বছরে জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো সারেগামাপাতে প্রধান বিচারক হিসেবে দেখা গেছে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। তাকে এর আগে সেভাবে কোন রিয়ালিটি শোতে বিচারক হিসেবে দেখা যায়নি। তবে এ বছরে তার এই টিভির পর্দায় আসার কারণ জানালেন এক সংবাদমাধ্যম দেওয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।
অজয় চক্রবর্তী বাংলার সংগীত জগতের একজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। কিন্তু তাকে কখনোই বিশেষভাবে টিভির পর্দায় আমরা দেখে উঠিনি কিন্তু তার কন্যা কৌশিকী চক্রবর্তী অনেক ধরনের সংগীত পরিবেশন করে বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। তবে এবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানালেন যে বাংলার সংগীতের শিক্ষা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বললেন যে আজকাল লোকে না শিখে প্রযুক্তির দুনিয়া এবং নেট মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করে নিচ্ছে। কিন্তু সেই খ্যাতি বেশিদিন প্রযোজ্য হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত তিনি বাদাম কাকু অর্থাৎ ভুবন বাদ্যকারের সম্পর্ক টেনে বলেন যে আজকাল কাঁচা বাদাম পাকা বাদাম নিয়েও গান হয়ে গেছে, খারাপ বলছি না তবে আজকাল মানুষ ঠিক কি পছন্দ করছে!
এই প্রসঙ্গে বলতে হয় গত বছর নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভুবন বাদ্যকারের সম্পর্কে। যেখানে বীরভূমের দুবরাজপুরের ভুবনের গান দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে একাধিক জনপ্রিয় তারকারা, তার গানের ছন্দে পা মিলিয়েছেন।
তিনি ছিলেন একজন বাদাম বিক্রেতা। নিজের সুর এবং লেখা গান গেয়ে বাদাম ফেরি করে বেড়াতেন।
সেই গানই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিতে সেটি ভাইরাল হয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে তিনি সেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ না করলেও পরবর্তীকালে তিনি এই গানের সুবাদে অনেক খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার ফলে তিনি “শিল্পী তকমা” পান। তাকে একাধিক রিয়ালিটি শোতেও ডাকা হয়ে হয়। এবং তিনি তার কাঁচা বাড়ি থেকে পরবর্তীকালে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচা করে একটি পাকা বাড়ি করেন সেখানে তিনি তার পরিবার নিয়ে এখন থাকেন। আর সেই ভূবন বাদ্যকারের খ্যাতি নিয়েই পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন যে এগুলো কোন গান নয় যা মানুষ আজ পছন্দ করছে। তাই জন্যে তিনি সংগীত জগতের একজন মানুষ হয়ে কষ্ট পাচ্ছেন সংগীতের এই অবনতিতে।