বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক কিংবদন্তি নাম হল উত্তম কুমার। তার নাম আজও চলচ্চিত্র জগতে অক্ষরে অক্ষরে লেখা রয়েছে। তার অভিনয় সত্তা ,হাঁটাচলা ,কথাবার্তা , স্টাইল সবকিছুতেই ছিল আলাদা মহিমা। আজ যতই বড় বড় সুপারস্টার আসুক বাংলা চলচ্চিত্রে কেউই সে জায়গা নিতে পারেনি। বাংলার দর্শক আজও মহানায়ক বলতে উত্তম কুমারকেই চেনেন।
তবে সেকাল থেকে একাল অনেকটাই সময় পার হয়েগেছে। মানুষের কাছে চলচিত্রের ধারা অনেকটাই বদলেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মহানায়ক সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে টলিজগতের দুই তারকাকে। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের একাধিক মন্তব্য উঠে এসেছে। তবে এবার মন্তব্য করতে শোনা গেলেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো এ বছরে মহানায়ক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন টলি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
এই প্রসঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই মহানায়ক সম্মান দেওয়া বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সরকারের তরফ থেকে এমন কোন সম্মান দেওয়া হয় তাও তিনি জানতেন না”। সোহম এবং নুসরাতকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে শুনে তিনি কিছুটা অবাকই হয়েছেন।
সেই বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় না। কারণ এখানে জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে কোন লাভ নেই। উত্তম কুমারের জায়গা আজও কেউ নিতে পারেননি। অবশ্য তার পরবর্তীকালে কি হতে চলেছে তা তার জানা নেই।” তারই মন্তব্যে বোঝাই যাচ্ছে যে তিনি মহানায়ক সম্মান নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় হলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আরেক বর্ষিয়ান অভিনেত্রী। যিনি উত্তম কুমারের সাথে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন ।একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় উত্তমের সাথে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তিনি। তার খুবই ঘনিষ্ঠ একজন ছিলেন মহানায়ক। টলি পাড়ায় এমন গুঞ্জন আছে যে মহানায়কের জন্যই তিনি আজীবন অবিবাহিত রয়ে গিয়েছিলেন, তিনি তাকে ভালবাসতেন।
এই বছর ৩রা সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের ৯৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সেই দিনই অভিনেত্রী জানতে পারেন প্রথম এই মহানায়ক সম্মানের কথা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই সন্মান উত্তম কুমারের পরবর্তী সময়ে তার সম্মানেই দেওয়া হয়ে থাকে।
সম্প্রতিকালে কিছু কথা নেটমাধ্যমে উঠে এসেছিল ,সেখানে একাধিক জনপ্রিয় মানুষদের দর্শকের কাছে আবেদন করতে দেখা গিয়েছিল এই বলে যে “বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান”, “বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়ান “।সেই বিষয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন , “যখন উত্তম কুমারের সময় ছিল তখন বাংলার দর্শককে এসব কিছুই বলতে হয় নি। তখন মানুষ বাংলা সিনেমাকে ভালোবেসে, ছবি দেখেই, বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়াতেন।