বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হলো জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। যেখানে বহুদিন ধরেই সাধারণ মানুষসহ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় সব তারকারা খেলতে আসেন। কেউ একা আসে কেউ আবার বাবা, মা ,স্ত্রী, স্বামী, ভাই, বোন, বন্ধুর সাথে আসে। আর সেইভাবেই সম্প্রতি বাংলা টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় অভিনেতা তার স্ত্রীর সাথে খেলতে এসেছিলেন। সেখানেও অভিনেতাকে ‘রাক্ষস’ বলে সম্মোধন করেন রচনা।প্রসঙ্গত এই শোটির সঞ্চলিকার পদে রয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি।
অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলী তার স্ত্রী শেলী গাঙ্গুলীর সাথে খেলতে এসেছিলেন। সেখানেই অভিনেতার অভিনয় জীবনের অনেক কথা উঠে আসে। প্রসঙ্গত রচনা এবং সুমিতকেও একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। সুমিত বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন জনপ্রিয় নেতিবাচক চরিত্রের শিল্পী বলেই খ্যাত। ১৯৯৩ সালে ‘তোমার রক্তে আমার সোহাগ’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপর প্রায় একাধিক ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
প্রসঙ্গত,রচনা বলেন ২০ বছর একসাথে সুন্দরী স্ত্রীয়ের সাথে কাটিয়ে কেন পরিবর্তন হলেননা অভিনেতা? সেই একই রকম ভয়াবহ চেহারা রয়ে গেলো কি করে? আর তাই অভিনেতাকে ‘রাক্ষস’ বলে রচনা। সুমিত এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সুন্দর হয়ে গেলে খেতে পাব না, এই চেহারা দেখেই ইন্ডাস্ট্রি ডাকে। এর জন্যই আমার সংসার চলে । তার স্ত্রীও তার এই চেহারাতেই খুশি।
সুমিতের সম্পর্কে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে তার স্ত্রী বলেন,সুমিতের প্রচন্ড রাগ। তার সাথে পরিচয় হয় নাটক করতে গিয়ে। তারপর শুরু হয় তাদের প্রেম। বাড়িতে মানবে না দেখে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেন আভিনেতা।
তবে রাগ এখন আগের থেকে অনেকটাই কমেছে অভিনেতার। মেয়ের কাছে একেবারে জব্দ হয়ে যান তিনি। মেয়ে নাকি একেবারে তার বাবার জেরক্স কপি। এত বছরে স্ত্রীর পরিবর্তন নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘ ও শান্ত ছিল আরও শান্ত হয়ে যাচ্ছে, আগে রোগা ছিল এখন আরও রোগা হয়ে যাচ্ছে ‘। এই ভিডিও ক্লিপটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।