সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেনের জন্মদিনে মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর মেয়ে নন্দনা। সংবাদ মাধ্যমে মাকে নিয়ে খুললেন মুখ। বললেন মায়ের জন্মদিন এলেই নন্দনা ওরফে মায়ের ‘টুমপুশ’ যেন ফিরে যান তাঁর কলেজের দিনে।
নবনীতা শত ব্যস্ত থাকলেও নিজে যত্ন করে মেয়েকে খাইয়ে দিতে ভুলতেন না। আবার সেই মা যখন বিলাসী হোটেল ছেড়ে মেয়ের দেড় কামরায় এসে ওঠেন তখন বোঝা দায় যে কে মা আর কে মেয়ে। কারণ তখন নবনীতা যেন তাঁর মেয়েরই ছোট্ট মেয়ে হয়ে গেলেন। ভুলিয়ে আদর করে চামচে দইয়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর কাজ করতে হতো মেয়ে নন্দনাকেই। আর তখনই তিনি ছোট্ট টুম্পার ভূমিকায় আর নেই। কারণ তখন তাঁর বিশ্ব অনেকটা বড় হয়েছে।
স্মৃতিচারণায় উঠে এলো নন্দনার কলেজ জীবনের বহু কাহিনী। কখনও নিজের কাজে মেয়ের কাছেই থেকেছেন নবনীতা। আর নন্দনা তখন পাঠরত। স্নানের ঘরে মায়ের ফেলে রাখা লাল টিপ, গলার মঙ্গলসূত্র, চিরুনিতে মায়ের চুল যেন এখনও জড়িয়ে রেখেছে তাঁকে আদরে। আবার নবনীতার দুই নাতনি হিয়ামন আর মেঘলার আদরেও যেন নিজেকে ফিরে পেয়েছেন নন্দনা। স্মৃতিচারণায় এও জানালেন নন্দনা যে তিনি মায়ের কবিতার অনুবাদ নিয়ে বই করেছেন।