Japani Oil: জাপানি তেল নাম শুনলেই লজ্জায় মাথা লুকান? জানেন কীভাবে এটা বানায়? এলো চমকপ্রদ তথ্য

জাপানি তেলের নাম শোনেনি এমন মানুষ কি আর রয়েছে? কম সময় এত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে এখন আর এর নাম মুখে নিতে কেউ লজ্জা পায় না। এর এতো বেশি বিজ্ঞাপন দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে যে এর পরিচিতি শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এর নানা গুনাগুন ধীরে ধীরে সামনে আসতে তেল নিয়ে কৌতূহলও খুব বেশি বাড়ছে সবার মধ্যে।

তবে এই তেল ঠিক কতটা কাজ করে এ বিষয়ে অনেকে অনেক প্রশ্ন তুলেছে। এই তেলকে নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি কিন্তু। মিথ্যা এক দাবি ওঠে যার অভিযোগ তুলে অনেক আগেই জাপানি তেলের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয় পুণের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

নাম জাপানি হলেও জাপানি তেলের সঙ্গে আদতে জাপানের কোন যোগাযোগ নেই সেটা জানেন? এই তেল জাপানে তৈরি হত বললেও তা কতটা সত্য সেটা আসলে জানা নেই। কিন্তু এই তেল প্রস্তুতকারক সংস্থা চতুর্ভুজ ফার্মা দাবি করে, বহু বছর আগে নানান আয়ুর্বেদিক উপাদান মিলিয়ে মিশিয়ে পুরুষদের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে যৌ’নতার এই টোটকা তৈরি করা হতো।

চতুর্ভুজ ফার্মার বক্তব্য অনুযায়ী ‘জাপানি তেল’ তৈরি হয় জলপাই তেল, লবঙ্গ, তিলের তেল, আকরকরা শিকড়, জ্যোতিস্মতি বীজ, আর্সেনিক-যুক্ত মিনারেল, কেশর, হরতাল ভস্ম মিশিয়ে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওয়েবসাইট আনুযায়ী এ সব ছাড়াও গোল মরিচ, লতা কস্তুরি, কার্পাস বীজের তেল, জুন্দবেদস্তর বা ক্যাস্টোরিয়াম, অশ্বগন্ধা, হিং, চামেলি ফুলের তেল, জাফরান, সরষের তেল, তিল্লির তেল, চেলোপোকা ব্যবহৃত হয়।

তবে ‘জাপানি তেল’-এর মধ্যে এত কিছু থাকলেও তা আদৌ যৌ’নবর্ধক হিসেবে কতটা কাজ করে তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘জাপানি তেল’-এর প্রচারে যে দাবি করা হয় তা আদৌ নাকি একদম সত্য নয়। ‘জাপানি তেল’ শুধু নয়, অন্য কোনো কিছু দিয়েই পু’রুষা’ঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায় না। এটা একমাত্র জটিল অস্ত্রপচারেই সম্ভব।