গত রবিবার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তিনি মারা যাওয়ার পরে থেকেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আসতে আসতে সরে যাচ্ছেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। প্রসঙ্গত সোশ্যাল মিডিয়াতে এই কয়েকদিন চর্চার কেন্দ্র বিন্দু হয়েছিলেন এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রী।
একদিকে অভিনেত্রীর কুড়ি দিনের দীর্ঘ অপরিসীম লড়াই আর উল্টোদিকে ঐন্দ্রিলার ফিরে আসার অপেক্ষায় বসে থাকা সব্যসাচী। তবে শেষ রক্ষা আর হয়নি। দু দুবার ক্যান্সারকে জয় করে আবার নিজের জীবনের সাধারণ ছন্দে ফিরতে পারলেও তৃতীয়বার আর এই মারণব্যাধি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি অভিনেত্রী।
আর তার এই ২৪ বছর বয়সে চলে যাওয়াটা ঠিক যেভাবে সারা বঙ্গ বাসি মেনে নিতে পারেনি। সেভাবেই অনেক বড় ধাক্কা দিয়ে গেছে অভিনেত্রীর পরিবারসহ কাছের বন্ধু সব্যসাচীকে। ঐন্দ্রিলা মারা যাওয়ার দিনই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডিএক্টিভেট করে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। আর এবার তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টটাও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গতকালের পর থেকে।
প্রসঙ্গত ফেসবুকের পাশাপাশি নিজের ইনস্টাগ্রামেও খুব বেশি অ্যাক্টিভ ছিলেন সব্যসাচী। নিজের নানারকম ফটো সঙ্গে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবিও তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেন অনুরাগীদের সঙ্গে। তবে সেই সব থেকেই নিজেকে এখন গুটিয়ে নিচ্ছেন সব্যসাচী।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে সব্যসাচীর বন্ধু জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস একটি নামে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “ফেসবুক কী ভাবে বন্ধ করতে হয়, সেটা আমার থেকে জেনে নিল। ঐন্দ্রিলা ওর লেখা খুব ভালবাসত। ওকে লেখার জন্য উৎসাহিত করত। ওর চলে যাওয়ার পর সব্য আর কিছু লিখতে চায় না।”