একাধিক বিয়ে এবং পরকীয়া ছাড়াও যে টিআরপি তালিকায় রাজ করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। এতগুলো বছর একে অপরের থেকে আলাদা থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে জীবনে আসতে দেয়নি সূর্য-দীপা। তারপর ধারাবাহিকে সোনা-রুপার এন্ট্রি নতুন বছরে দর্শকের বিচারে ও TRP-এর নিরিখে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে আজ সবার উপরে স্থান দিয়েছে। এর ধারেকাছে আর কোনও ধারাবাহিক নেই।
আজকাল টিআরপি তালিকার দিকে কড়া নজর রাখেন দর্শকরাও। তাঁদের পছন্দের ধারাবাহিক কত থেকে কত নম্বরে গেল, বা কোন ধারাবাহিক আজকাল বেশি পছন্দ করছে মানুষ তা বেশ দেখতে আগ্রহী দর্শকগণ। পাশাপাশি ধারাবাহিকের ছোটোখাটো ভুল-ত্রুটি বা ভালো পর্ব নিয়েও চর্চায় মেতে ওঠেন দর্শকগণ। রেকর্ড নম্বর পেয়ে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ এতদিন বেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমান কিছু একঘেয়েমিয়েতার জন্যই হয়তো কপালে চিন্তার মেঘ জমতে শুরু করেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের। বেশ কিছুদিন ধরে টি আর পির নম্বর কমছে ধীরে ধীরে।
যদিও দুই খুদে চরিত্র সোনা এবং রূপার কেমিস্ট্রি ফের এই ধারাবাহিককে নিজের জায়গায় ফিরিয়ে আনবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ধারাবাহিক অনেকদূর এগিয়েছে, এসেছে নানান নতুন মোর। কিন্তু এখনও দীপা ও সূর্যের মনে একে ওপরের নিয়ে ভুল ধারণা আছে। দর্শকরা আশা করেছিল ধীরে ধীরে সোনা-রূপার কারণে সেসকল ভুল কাটতে চলেছে। কিন্তু এখনও সেরম কোনো পরিবর্তন আনেনি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ট্র্যাক। ইতিমধ্যে লাবণ্য তার দুই নাতনিকে কাছে পেয়েছে। রুপা বাবার হাত ধরেই তার নিজের ঘরে এসেছে।
অজান্তেই নিজের পরিবারের আদর ভালোবাসা সবই পেয়েছে সে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে নিজের যমজ বোনকে। কিন্তু দীপাকে দেখে সূর্য নিজেকে সামলাতে এখনও পারছে না। লাবণ্য যে দীপার কথা লুকিয়েছে তা জানার পর থেকেই খেপে উঠেছে সূর্য। এমনকি মেয়ে সোনার শরীর খারাপের সময় দীপা এসে তাকে আগলানোর পরও সূর্য দীপাকে অনেক খারাপ কথা শোনায়। সবকিছুর একটা সীমা আছে, আর সেই সীমা পেরিয়ে যেতেই দর্শক এবার সূর্যের উপর খেপে উঠেছে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা।
একজন নেটিজেন সম্প্রতি একটি পোস্টে লেখেন, “অনুরাগের ছোঁয়া-র নাম পাল্টে এখন নাম রাখা উচিত ‘সূর্যর রাগের ছোঁয়া’😏 আমার সূর্যকে বাঁশের ছোঁয়া দিতে খুব ইচ্ছা করে”। সেই পোস্টে সাথেই সাথেই বহুজনের কম্যান্টে ভোরে যায়। ওপর একজন লেখেন, “সূর্য যে কেন এতো রেগে যায় বুঝিনা। দীপার নাম শুনলেই পুরো ভোলকানিক এরূপশন এর মতন রিএক্ট করে।” অপরজন লেখেন, “আসলেই একদম ফালতু সূর্যকে আর নেওয়া যায়না”। আর এসবের জন্য আরও এক নেটিজন বলে বসেন, ‘ও পাগল ওকে ডাক্তার দেখানো উচিত’। ‘এক ঘেয়ে হয়ে গাছে একটু টুইস্ট আনা দরকার’।