ধারাবাহিক মানেই কিছু অবাস্তব থাকবেই। অবাস্তব জিনিস ছাড়া ধারাবাহিকের টিআরপি যেন বাড়েইনা বলে মনে করেন লেখক-লেখিকারা। আর তাই কিছু ধারাবাহিক ঠিক এরই কারণে ট্রোলের শিকার হয়। ট্রোল যত হবে ধারাবাহিকের খ্যাতি তত বাড়বে। আর সেই সুযোগই ছাড়েনা পরিচালকেরা। তবে যে শুধুই অবাস্তব জিনিসে ভরিয়ে দিলেই সেরা ধারাবাহিক হয়ে উঠবে তা কিন্তু নয়। সেরা ধারাবাহিক হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সুন্দর, আকর্ষণীয় গল্প, ট্র্যাক, অভিনয় ইত্যাদি।
বাংলা টেলিভিশনে দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে একটি হল ‘মিঠাই’। দু-বছরেরও বেশি সময় ধরে অতিবাহিত এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন জয় করে রয়েছে। গল্পে নানান নতুন মোড়, নতুন চমক ধারাবাহিকের প্রতি আরও উৎসুক বাড়িয়েছে দর্শকদের। প্রথম থেকেই মিঠাই-উচ্ছেবাবুর দুষ্টু-মিষ্টি জুটি বেশ প্রিয় সকলের। পাশাপাশি মিঠাই-এর অভিনয়, মুখের মিষ্টি ইংরেজি শব্দ, আদব-কায়েদার প্রেমে পড়েছেন বহুজন।
মিঠাই এখন সকলের ঘরের নিজের লোক হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকে মিঠাই-এর মৃত্যুর পর ধারাবাহিকের টিআরপিও তাই তলানিতে নামতে শুরু করে। মিঠাইকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে দর্শক। এরপরই মিঠাই-এর মতোই হুবহু দেখতে মিঠির আগমন। সিডের ছেলে শাক্যের প্রতি মিঠির মাতৃত্ববোধ, দুষ্টু মিঠির চটাং চটাং কথা ফের মন জয় করে নেয়।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, দর্শকদের অবিরাম চাহিদার জেরে মিঠাইও ফিরে আসে ধারাবাহিকে। মিঠি-মিঠাই উভয় রোলে সৌমিতৃষা যে অভূতপূর্ব অভিনয় করেছেন, তা দেখে মুগ্ধ মিঠাই ভক্তরা। এতদিন পর মিঠাই-এর সেই পারফেক্ট অভিনয় করতে একটুও সমস্যা হতে দেখা যায়নি। তবে ধারাবাহিকে এখন মিঠাই-এর স্মৃতি নষ্ট হয়েগিয়েছে। মোদক পরিবারের কারোর কোথায় মিঠাই-এর মনে নেই।
সিড তাই মিঠাইকে নিজের বাড়িতে এনে মনে করানোর চেষ্টা করছে। তবে এরমধ্যেই জানা যায়, মিঠাই-এর আগুনে পুড়ে স্মৃতি নষ্ট হয়েছে। যা জেনে কয়েকজন দর্শক বেশ অবাক। আগুনে পুড়ে স্মৃতি নষ্ট? এও হতে পারে? ট্রোল শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। একজন লেখেন, ‘আগুনে পু*ড়লে কার স্মৃতিভ্রষ্ট হয়? তারওপর ৮টা বছর ধরে স্মৃতিহারা?’উল্লেখ্য, ধারাবাহিকে ছোট্ট মেয়ে মিষ্টির সঙ্গে এন্ট্রি হয়েছে মিঠাই-এর। এবার শাক্যের সাথে দেখা হতে শাক্যকেও মমতার চাদরে জড়িয়ে নিল মিঠাই। ক্ষণিকের জন্য শাক্যের প্রতি তার চোখে মাতৃস্নেহ জেগে ওঠে।