বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে (Bengali Television) মাঝেমধ্যেই বহু নামকরা অভিনেতা অভিনেত্রীর আবির্ভাব হয়েছে। যাঁরা নিজেদের অভিনয় গুণে ধন্য করেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিকে। কিন্তু নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীদের আগমনের জেরে বাংলা টেলিভিশন দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন এই সমস্ত তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। আর তেমনই একজন গুণী শিল্পী হলেন অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী (Gargi Roychowdhury)।
সুদীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাজ হাতে গোনা। আসলে তিনি এতটাই বেছে বেছে কাজ করেন যে তাঁর করা প্রায় সমস্ত চরিত্রই দর্শকদের মনে দাগ কেটে গেছে। আসলে সব চরিত্রে এতটা পারফেক্ট তিনি। টেলিভিশনের পাশাপাশি বড় পর্দাতেও সমানতালে দাপিয়ে অভিনয় করে গেছেন এই অভিনেত্রী। ‘বিট নুন’, ‘হামি’, ‘তিন ইয়ারি কথা’, ‘শ্রাবণের ধারা’, মুখোমুখি প্রত্যেকটা চরিত্রেই নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী।
নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী অভিনেত্রী। বাস্তব ধর্মী চরিত্রে কাজ করতে চান তিনি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘এক ধাঁচের অভিনয় আমি করতে পারি না। ‘রামধনু’ করার পর আমার কাছে ৫-৬টা একই ধরণের চরিত্রের অফার এসেছিল। ঈশ্বরের অশেষ আশীর্বাদ যে আমায় তা করতে হয়নি।’
২০১২ সালে তাঁকে শেষবারের মতো টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে। কিন্তু টেলিভিশন জগতেও তিনি এক গতে বাঁধা চরিত্রে অভিনয় করেননি। সেখানেও ছুঁয়ে গেছেন ভিন্নতাকে। আসলে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজের অভিনয় জীবনকে আরও বেশি করে যাপন করতে চান এই প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী। তা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কবে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে? এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি গোটা বছরে ৩-৪টে ছবি করি না। আমার আসলে অত সাহস নেই। আমি চেষ্টা করি ২টো করে ছবি করতে, ইচ্ছে আছে সেটাই করে যাব।’ অর্থাৎ ওটিটি মাধ্যমে আপাতত তাঁকে দেখা যাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। অভিনেত্রীর কথায়, করোনা মহামারী পরবর্তী আরও বেশি করে জনপ্রিয় হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। যাঁরা সিনেমায় তেমনভাবে সুযোগ পান না সেই সমস্ত অভিনেতারা চুটিয়ে কাজ করছেন ওটিটিতে। এটাও বড় সাফল্য।
সেই হিসেবে কমার্শিয়াল ছবিতেও তেমনভাবে দেখা যায়নি অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরীকে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের জবাবে অকপট গার্গী জানিয়েছেন, ‘শুধু তুমি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম আমি। কিন্তু তারপর আমি কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিই। খুব ভেবে চিন্তে সচেতনভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারন সেই সময় কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করে আমি তেমন একটা তৃপ্তি পায়নি। আমি বরাবরই এমন কিছু নারী কেন্দ্রিক চরিত্র করতে চেয়েছি, যেটা আমায় তৃপ্তি দেবে।’