সন্ধ্যা মানেই ধারাবাহিকের পাহাড়, সারাদিন সকল কাজ করে ঘরের মা-বোনেরা শুধুমাত্র অপেক্ষায় থাকে এই সন্ধ্যার জন্য। জি বাংলার ধারাবাহিক এখন সকলের জীবনের এক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে কিছু গল্প দর্শকদের নিজ জীবনের প্রতিচ্ছবি। অভিনয় দক্ষতার দ্বারা ধারাবাহিকে প্রতিটা চরিত্র যেন হয়ে ওঠে জীবন্ত!
আর এরফলেই সেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও হয়ে ওঠে নিজের ঘরের। শুধুই লিড রোল নয়, পার্শ্বচরিত্রগুলিও মন জয় করে দর্শকদের। একটি ধারাবাহিকের গল্প ফুটিয়ে তুলতে শুধুই মেন্ রোলগুলোকে ভালো হতে হয়, তা নয়, পাশাপাশি পার্শ্বচরিত্রদেরও অভিনয় নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। তাই ধারাবাহিক তখনই জনপ্রিয় হওয়ার জন্য সকলকে সমান প্রয়োজন।
ধারাবাহিকের পার্শ্বচরিত্রগুলো দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে চলেছে বলেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে। তবে শুধু পজেটিভ চরিত্র নয়, নেগেটিভ চরিত্র বিশেষ প্রয়োজন একটি ধারাবাহিকে। কারণ ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্র ফুটে না উঠলে গল্প দাঁড়ায় না। আর সেই গল্পে ইন্টারেস্টও থাকে না।
তবে পজেটিভ ও নেগেটিভ বাদে গল্পের আরেক ধরণের চরিত্র বেশ প্রাধান্য পায়, তা হল বেহায়ার চরিত্র। যারা একের পর এক সংসার ভাঙতে ওস্তাদ, লজ্জাজনক কাজ করতে পারদর্শী। আর এদের জন্যই একটি ধারাবাহিক চর্চায় ওঠে। কিছু চরিত্র দর্শকদের মনে এতটাই ঘৃণা তৈরী করে, যে তাদের দেখলেই দর্শকদের মুখে কটু কথা বেরিয়ে পড়ে। এরমধ্যে অন্যতম হল, গুড্ডি- যে প্রথম থেকে একজন বিবাহিত পুরুষের জীবনে ঢুকে পড়ে আবার নিজের স্বামী থাকা সত্ত্বেও।
অন্যজন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মিশকা, যে অনেকটা একইরকম কাজ করে গুড্ডির মতো, যদিও সে নিজে বিবাহিত নয়। অপরজন হল আর্যা, যে প্রতিটি ধারাবাহিকের নায়কগুলোকে নিজে বিয়ে করতে চায় কিন্তু প্রতিবারই বিয়ের পিঁড়িতে বসে লগ্নভ্রষ্টা হয়। এবার এদের মধ্যে ভোট শুরু। আপনিও বেছে নিতে পারেন, আপনার মতে কে সবচেয়ে বেশি বেহায়া। আর সেই পোস্টই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এক দর্শক।