এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সোনামণি সাহা। যাঁর চরিত্রের নাম রাধিকা। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে, তাঁর নিজের বরে পোখরাজের থেকে সে আলাদা হয়ে গেছে। বর্তমানে অন্য একজনের প্রেমে পড়েছে সে। নাম ড. অনির্বাণ গুহ।
আর সোনামণি সাহার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে তাঁর বাস্তব জীবনের বড্ড মিল। ২০১৫ সালে কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিনেত্রীর। কিন্তু বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যেই অভিনেত্রী ভেঙে দেন সেই সম্পর্ক। কেন সম্পর্ক ভাঙলেন? এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, আমি মুখ খুললে অনেককেই জেলে যেতে হবে।
যদিও সোনামণির এহেন আচরণের বিষয়ে মুখ খুলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রীর স্বামী সুব্রত রায় অভিযোগের সুরে জানিয়েছিলেন আমাদের দেখে শুনে অর্থাৎ অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়েছিল। মালদা থেকে শুধুমাত্র ওর অভিনয়ের কথা ভেবেই আমরা কলকাতায় চলে আসি। এখানে ফ্ল্যাট কিনি। আমাদের মধ্যে সবকিছুই ঠিক ছিল।
কিন্তু এরপর? সোনামণি সাহার প্রাক্তন স্বামী জানিয়েছিলেন, হঠাৎই লকডাউনে সোনামণি মালদায় ওর মায়ের বাড়ি থাকতে গেল। কিন্তু তারপর আর আমার কাছে ফিরল না। আমি, আমার মা কারর ফোন অবধি তোলে না। ভাইকে নিয়ে এসে কলকাতার ফ্ল্যাটে গিয়ে নিজের সব জিনিস, বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে চলে গিয়েছে। এই সবকিছু আমি পাশের বাড়ির মাসিমার কাছে শুনেছি।
তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, অনেক কিছু করেছি সোনামণির জন্য। যদিও নিজের বিবাহিত জীবনের কোনও কথাই কখনও প্রকাশ্যে বলেননি সোনামণি। বলা যায় কার্যত লুকিয়ে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শোনা যায় সোনামণি নাকি প্রতীক সেনের সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার জন্যই বিবাহিত জীবন ভেঙে চলে আসেন। যদিও প্রতীককে নিজের আদর্শ, নিজের শিক্ষক বলে থাকেন সোনামণি। কিন্তু টলিপাড়া যে বলে এক অন্য কথা। তাতে মোহর জুটির কথাই ওঠে।