‘শিল্পীর কোনও জাত হয় না’! প্রথম পর্বেই তুখোড় ডায়লগ, বাজিমাত করল তুঁতে

৫ই জুন থেকে শুরু হল স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘তুঁতে’। এই ‘তুঁতে’তেই হোমডেলিভারি, হেঁশেল ছেড়ে কাপড় বুনতে শুরু করেছেন ‘খুকুমনি’। নতুন রূপে ফিরলেন ‘খুকুমণি’। এতদিন রান্নায় তাঁর হাতের জাদুতে মজেছিল দর্শক। এবার তাঁর শিল্পী হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হবে রঙবেরঙের নানা শাড়ি, ডিজাইনার জামা কাপড়। শুরু হল স্টার জলসায় দ্বীপাণ্বিতা রক্ষিতের ধারাবাহিক ‘তুঁতে’।

অনেক আগেই প্রোমো এসে গিয়েছে ‘তুঁতে’ ধারাবাহিকের। দ্বীপাণ্বিতার সঙ্গে নায়কের চরিত্রে রয়েছেন ‘খেলাঘর’এর শাণ্টু অর্থাৎ সৈয়দ আরেফিন। ‘তুঁতে’র মাধ্যমে এবার নতুন জুটি পেতে চলেছেন দর্শক। প্রোমোতে দেখা গিয়েছিল, গ্রামের মেয়ে তুঁতের স্বপ্ন নামী ফ্য়াশন ডিজাইনার হওয়ার। আর তারজন্যই সে শহরে আসবে।

গ্রামের সবাই বলে তার হাতে জাদু রয়েছে, পুরোনো শাড়ি কেটে নিমেষে পোশাক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় তুঁতে। টাকার লোভে সৎ মা তুঁতেকে শহরে পাঠিয়ে দেয়। তুঁতে আসে নামী ডিজাইনারের বাড়ি লাহিড়ি ম্যানসনে। গ্রামের মেয়ের ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্নের কথা শুনে সকলে যখন তুঁতেকে উপহাস করে, তখন পাশে এসে দাঁড়ায় নায়ক সৈয়দ আরেফিন।

তুঁতের প্রথম পর্বে রাস্তায় ধাক্কা লাগে নায়ক-নায়িকার। এবার দেখা গেল লাহিড়ি ম্যানসনের পুজোতে হাজির হল তুঁতে। তুঁতের গ্রামেই রয়েছে নায়কের আদি মামাবাড়ি। সেখানে জগদ্ধাত্রী পুজো হওয়াতে নায়কের গোটা পরিবার সেখানে উপস্থিত হয়। সেই পুজোতে মাকে গ্রামের শিল্পীর হাতের তৈরী শাড়ি পোড়ানো হয়। কিন্তু তুঁতের রাস্তায় ছোট দুর্ঘটনার জন্য দেরি হয় যায় শাড়ি নিয়ে আসতে। কিছুক্ষনের মধ্যে তুঁতে সেখানে জগদ্ধাত্রী মায়ের জন্য নিজের হাতে তৈরী শাড়ি নিয়ে হাজির হয়।

সেই শাড়ির ডিজাইন দেখে লাহিড়ি ম্যানসনের সকলে অবাক হয়ে যায়। কার হাতে কাজ, তার খোঁজ নিতে বলা হয়। তখন সৌমিলি বলে, শাড়িটিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিতে। আর তখনই লাহিড়ি ম্যানসনের বড় বৌমা বলেন, ‘শিল্পীর কোনও জাত হয় না’। উক্ত এই লাইনটি মন ছুঁয়ে গেল দর্শকদের। ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বই সামাজিক বার্তা দিল সকলকে। যদিও পরে যখন ‘তুঁতে’ সেই মণ্ডপে ঢুকতে চায়, তখন তুঁতে সহ গ্রামের বাসিন্দাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবার তুঁতে গ্রামের সকল লোকেদের ইচ্ছা রক্ষার্থে কি করবে তাই দেখার।