‘ছেলেধরা গুড্ডি’! অঙ্কুশের মুখে অনুজের ফিরে আসার সংশয় থাকলেও ক্রিমিনালের প্রেমে মজে গুড্ডি আর সাড়া দেবে না অনুজকে! নোংরামি দেখে চুটিয়ে হচ্ছে খিল্লি
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এমন একটি ধারাবাহিক রয়েছে যে ধারাবাহিকটি খুব বেশিদিন ভালো কথা সহ্য করতে পারে না। আসলে কটাক্ষ না শুনলে ধারাবাহিকটি যেন প্রাণ পায় না। আর সেই কারণেই কয়েকটি পর্ব ঠিকঠাক দেখালে তার পরেই আবার ফিরে আসে অদ্ভুত, অবাস্তব, নোংরা সমস্ত পর্ব।
বুঝতেই পারছেন কোন ধারাবাহিকের কথা বলছি! হ্যাঁ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে কদর্য ধারাবাহিক হিসেবে খ্যাত স্টার জলসার গুড্ডি ধারাবাহিকের কথাই বলছি। এক রকম গল্প নিয়ে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটির মাথা, মুন্ডু আগা, গোড়া কিছুই আর খুঁজে পান না দর্শকরা। বারংবার দর্শকদের তরফ থেকে আবেদন করা হলেও এই ধারাবাহিকটি বন্ধ করতেও গা দেখায় না চ্যানেল। অন্যদিকে দর্শকদের পছন্দ করা ধারাবাহিকগুলি কিন্তু টপাটপ বন্ধ করে দিচ্ছে।
প্রথম অধ্যায় অনুজকে মেরে দিয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে অনুজের ছেলে ঋতুরাজ ও নায়িকা গুড্ডির পালিতা কন্যা ঋতাভরীর প্রেম-মিলন দেখানো হয়। একই রকম দেখতে হওয়ার জন্য শুরুতে কটাক্ষ হজম করলে ধীরে ধীরে দ্বিতীয় অধ্যায়ের গল্প ভালো লাগছিল দর্শকদের। কিন্তু প্রশংসা কি আর বেশি দিন সহ্য হয়!
ব্যাস গায়ে স্যুট মাথায় হ্যাট পরিয়ে নিয়ে চলে আসা হল চুল্লিতে দাহ হয়ে যাওয়া অনুজকে। প্রথমে সবাই তাকে স্মৃতিভ্রষ্ট অনুজ হিসেবে ভেবে নিলেও দর্শকদের জন্য গল্পে চমক রাখার কোনও সুযোগই মিস করতে চান না লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই কারণে ওই ব্যক্তিকে অনুজ নয় বরং ক্রিমিনাল অঙ্কুশ ভাটিয়া হিসেবে হাজির করলেন তিনি।
এই ব্যক্তিকে অঙ্কুশ ভাবতে নারাজ হলেও গুড্ডির মন পুলকিত হয়ে উঠেছে। যুধাজিৎকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে না পারলেও কয়েকদিনের আলাপেই অঙ্কুশের প্রেমের হাবুডুবু মধ্যবয়স্কা গুড্ডি। পারলে এক্ষুনি বিয়ে করে নেয়। অঙ্কুশের মধ্যে যেখানে ভবিষ্যতে অনুজ ফিরে আসার সংশয় দেখা দিয়েছে। সেখানে অনুজকে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতিকে গুলি মেরে অঙ্কুশের প্রেমে পাগল প্রায় দশা গুড্ডির। এমনকি সে অঙ্কুশকে বিয়ে করতে চায় বলেও জানিয়েছে। স্বীকার করে নিয়েছে প্রেমের কথা। আর যথারীতি এই বয়সে গুড্ডির এই নোংরা মানসিকতা দেখে ছিছিকার নেটদুনিয়ার।