বাংলা টেলিভিশনে (Bengali Television) দুনিয়ায় এমন একটি ধারাবাহিক রয়েছে যে ধারাবাহিকটি দর্শক বন্ধ করতে চাইলে বন্ধ করছে না চ্যানেল বা প্রযোজনা সংস্থা। টিআরপি তালিকায় নিম্নমুখী হলেও এই ধারাবাহিক নোংরামির সমস্ত সীমা পার করে তবেই ক্ষান্ত হবে এটা বোঝাই যাচ্ছে।
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন ধারাবাহিকের কথা বলছি। স্টার জলসার (Star Jalsha) গুড্ডি (Guddi) ধারাবাহিক ঠিকই ধরেছেন। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে নোংরাতম ধারাবাহিকের তকমা জুটেছে এই ধারাবাহিকের কপালে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এই ধারাবাহিককে আরও নোংরা করার চেষ্টায় রত লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রথমে দেখানো হল অনুজ শিরিন এবং গুড্ডির ত্রিকোণ প্রেম পরকীয়ার সম্পর্ক। মাঝখানে নিয়ে আসা হলো ভদ্র সভ্য যুধাজিৎ নামক একটি চরিত্রকে। গুড্ডির সঙ্গে বিয়েও হয়। কিন্তু নোংরামি ছাড়া কী আর গুড্ডির চলে! তাই অনুজ ছাড়া আর অন্য কাউকেই সে ভালোবাসতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় যুধাজিৎকে। অন্যদিকে মারা যায় অনুজ।
আর এই সময়টায় গুড্ডি প্রতিপালন করে নিজের পালিতা কন্যা রেশমি ওরফে ঋতাভরীকে। অন্যদিকে বড় হয়ে ওঠে শিরিন-অনুজের ছেলে ঋতুরাজ। অদ্ভুত জাদু বলে পালিতা কন্যা রেশমিকে দেখতে হয় হুবহু গুড্ডির মতো আর অন্যদিকে পুবলু অর্থাৎ ঋতুরাজক দেখতে হয় তার বাবা অনুজের মতো। মনে করা হয়েছিল এদের নিয়েই এগোবে গল্প।
ঋতাভরী-ঋতুরাজের বিয়ের পর তো এই ধারণা আরও গভীর হয়েছিল। কিন্তু কোথায় কী গল্পকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে লীনা দেবী হাজির করলেন অনুজের মতো দেখতেই একটি চরিত্র নাম অঙ্কুশ। সে আবার ক্রিমিনাল। আবার অনুজের মতো দেখতে দেখেই প্রেম জেগে উঠল গুড্ডির মনে। একসঙ্গে পাহাড় ঘোরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো সে। জেগে উঠলো বিয়ের ইচ্ছে।
যদিও অচেনা অজানা একটা লোককে দেখে মায়ের এই ধরনের আচরণ মোটেও মেনে নিতে পারেনি গুড্ডির পালিতা কন্যা রেশমি। কিন্তু ক্রিমিনাল অঙ্কুশকে বাঁচিয়ে ফেরানোর পর তাকে ছাড়তে নারাজ গুড্ডি। মেয়ে তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তাকেও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত এই চরিত্রহীন মহিলা। তার কথায় আগে অঙ্কুশকে ভালবাসতে হবে তাহলেই আমার ভালোবাসা পাবে রেশমি। আর মাঝবয়সী এক মহিলার পুরুষ নিয়ে হ্যাংলামি, নোংরামি দেখে এই ধারাবাহিক বন্ধ করার জন্য তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেটিজেনরা।