বিদায় অনির্বাণ! অপমান আর সহ্য করতে না পেরে আ’ত্ম’হ’ত্যা করল! ‘অনিধিকা’ সম্পর্কের এ কোন পরিণতি? 

‘এক্কা দোক্কা’র গল্প বেশ ভালোই এগোচ্ছিল, কিন্তু তারমধ্যেই এল একটা খারাপ খবর। হঠাৎই শুটিং বন্ধ হয়ে যায় এক্কা দোক্কার নাকি অন্য কিছু? সদ্যই অনির্বাণের সঙ্গে রাধিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বহুদিনের দর্শকদের ইচ্ছাই হয়েছে পূরণ, সাত পাকে বাঁধা পড়ল তারা। যদিও বিয়ের আগে ও পরে নানান বাধা এসেছে। তবে সব বাধা পাড় করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। রাধিকা ও অনির্বাণের এই শুভ পরিণয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিল অনেকেই। এবার আরও কিছু সুন্দর মুহূর্তের অপেক্ষায় দর্শক। তবে তার আগেই সামনে এল এক খারাপ খবর। উল্লেখ্য, অনির্বাণ ও রাধিকা জুটি দর্শকদের বেশ পছন্দ।

এর আগেও এই জুটিকে দর্শক দেখেছে ‘মোহর’ ধারাবাহিকে। তাই ‘এক্কা দোক্কা’তে অনির্বাণ অর্থাৎ প্রতীকের এন্ট্রি হতেই সকলেই আবদার করে রাধিকা ও অনির্বাণের জুটি হোক। আর তাই দর্শকের কথা মতো লেখিকা সেই দিনটিকে নিয়ে চলেই এলেন। যদিও আগেই জানা গিয়েছে, বিয়ের দিনও আসতে চলেছে নতুন এক ট্যুইস্ট। স্টার জলসার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘এক্কা দোক্কা’। তবে গল্পের শুরুতে যে নায়ক ছিল, এখন সেই নায়কের জায়গা দখল করেছে অন্যজন। দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু হয় স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’।

কিছু মাসের মধ্যে লেখিকা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় অনেকটাই। ধারাবাহিকের প্রথমদিকে রাধিকা এবং পোখরাজ দুজনেরই জুটি বেশ প্রিয় ছিল দর্শকদের। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির দরুন দুজনে আলাদা হয়ে যায়। তারপরই গল্পে এন্ট্রি নেন ড: অনির্বাণ। গল্প ঘুরে যায় ড: অনির্বাণ ও রাধিকার দিকে। অন্যদিকে পোখরাজের জীবনে এন্ট্রি নেয় রঞ্জা। বহু অভিমান, রাগ ভুলে অনির্বাণ সিদ্ধান্ত নেয় রাধিকাকে বিয়ে করবে। রাধিকা ও অনির্বাণের বিয়েতে উপস্থিত ছিল পোখরাজ, রঞ্জা সহ সকলেই।

কমলিনীর জন্য অনির্বাণকে ভুল বুঝল রাধিকা

শেষমেশ ভালো ভাবে বিয়ে মিটলেও বিয়ের পরেরদিন শ্বশুরবাড়িতে আবার এল সমস্যা। কমলিনীর কিছু ভুল কথায় রাধিকা ভুল বোঝে অনির্বাণকে। তার মনে হয়েছে, অনির্বাণের সঙ্গে কমলিনীর সম্পর্ক রয়েছে। আর তারফলেই আবার বিয়ে ভাঙার কথা তোলে রাধিকা। প্রথমে বিয়ের ভাঙার কারণ রাধিকা না বললেও পরে রাধিকা সকলের সামনে জানায় অনির্বাণের সন্তান রয়েছে কমলিনীর পেটে, আর সেটা খোদ কমলিনী রাধিকাকে জানিয়েছে। কমলিনীর কথায় রাধিকার মনে হয়েছে, হয়তো কমলিনীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল অনির্বাণের। যদিও অনির্বাণ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অনির্বাণ

যদিও পরবর্তীকালে রাধিকা নিজের ভুল বুঝতে পারে। এবং তার মনে হয় অনির্বাণ ঠিক বলছে। সকলে মনে করে কমলিনী অসুস্থ। আর তাই কমলিনীকে বুঝিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে দেখা যায়, সে সত্যি প্রেগনেন্ট। এরপর রাধিকা অনির্বাণকে ডিএনএ টেস্টার জন্য বললে অনির্বাণ রাজি হয় না। এরপরই সামনে এল এক খারাপ খবর। অনবরত অপমানিত হয়ে অনির্বাণ ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে। পরে দরজা খুলে রাধিকা অনির্বাণকে এরূপ অবস্থায় দেখলে হাসপাতালে ভর্তি করে। নিজেকে সঠিক প্রমান করার জন্য অনির্বাণের আজ এই অবস্থা। এবার কি তবে রাধিকা নিজের ভুল বুঝবে? আসছে গল্পের এক চমকদার পর্ব।