ফের একবার জাতীয় মঞ্চে সেরাদের তালিকায় জনপ্রিয় গায়ক শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) নাম। গত বৃহস্পতিবার ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হলেন শ্রেয়া। এবার তামিল ছবি ইরাভিন নিজহালের মায়াভা-চায়াভা গানের জন্য শ্রেয়া এই পুরস্কার পেয়েছেন। সারা জীবনের গানের কেরিয়ারে এই নিয়ে পঞ্চমবার তিনি জাতীয় পুরস্কার হাতে নিলেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। এবছরের শেষে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার নেবেন গায়িকা।
বিতর্কে জড়ান শ্রেয়া ঘোষাল
কিন্তু তারপরও শ্রেয়া বেশকিছু ভক্তদের আফসোস রয়েছে। তাদের মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে বারবার বাধা আসে শ্রেয়ার। কিছুদিন আগে এমনই একটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গায়িকা শ্রেয়া। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির গান ‘তুম কেয়া মিলে’-তে অরিজিৎ সিং এবং তাঁর অংশের ভাগাভাগি এবং প্রচার নিয়ে অনেক ভক্ত প্রশ্ন তুলেছিলেন। সম্প্রতি সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বাঙালি গায়িকা।
ইন্ডাস্ট্রির উপর লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ
‘তুম কেয়া মিলে’ গানটি যখন ঘোষণা করা হয়, সেই পোস্টে অরিজিৎ সিংকে কৃতিত্ব দেওয়ার সময় শ্রেয়া ঘোষালের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর তখনই ভক্তরা প্রতিক্রিয়ার ঝড় তুলেছিলেন। কিছু ভক্তদের বক্তব্য ছিল, লিঙ্গ পক্ষপাত এবং শিল্পে পুরুষ ও মহিলা শিল্পীদের প্রতি অসম আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি একটি সাক্ষাত্কারে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির সামান্য পক্ষপাতের কথা স্বীকার করেন খোদ শ্রেয়াও।
কি বলছেন শ্রেয়া?
গায়িকা সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘এটি শুধু সঙ্গীত বা ছবির জগতে নয়, আলোচনা শুধুমাত্র অভিনেত্রী বা সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, প্রতিটি কোম্পানি, প্রতিটি শিল্পে এটাই চলে আসছে। সব ক্ষেত্রে এটি একটি সাধারণ গল্প এবং সাধারণ লড়াই। সমস্ত মহিলা প্রতিনিয়ত এর সম্মুখীন হন। শুধু এই দেশে নয়, এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী।’’
পাশাপাশি ৬৯ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য আগে একটি পোস্টও শেয়ার করেন শ্রেয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে শ্রেয়া লেখেন, “ইশ্বর বড়ই দয়ালু। আমাকে এই রত্নটি দেওয়ার জন্য এ আর রহমান স্যারকে ধন্যবাদ। আররাভিন নিজলে আমাকেও অংশীদার বানানোর জন্য রাধাকৃষ্ণণ পার্থিবন স্যার আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ অনুরাগীদেরও।” উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ‘দেবদাস’ ছবিতে গাওয়া তাঁর ‘বৈরি প্রিয়া’ গানের জন্য প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেয়া।