সকলের সামনে পিসি ঠাম্মিকে ছাগলের মুখোশ পরা বলদ বললো সন্ধ্যা! গুরুজনকে অপমান! ক্ষুব্ধ দর্শক

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara) । স্টার জলসার (Star Jalsha ) সম্প্রচারিত এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের অন্যতম পছন্দের একটি ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে। দুটো সপ্তাহ টিআরপিতে কামাল করলেও মোটামুটি রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দশের তালিকায় রয়েছে সন্ধ্যাতারা।

এই ধারাবাহিকে দুই বোনের এক পুরুষের প্রতি ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে। বলাই বাহুল্য এই গল্পের মূল আকর্ষণ দুই বোন সন্ধ্যা এবং তারা। দুজন একে অপরকে নিজেদের প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসে।‌ দুজন দুজনের ভালোর জন্য সমস্ত রকম স্বার্থ ত্যাগ করতে পারে। আর তাই তো দিদির জন্য নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছেন তারা।

কোথায় গেল সন্ধ্যার চরিত্রের সেই আগের দৃঢ়তা? কেন হাস্যরসাত্মক বানানো হচ্ছে চরিত্রটাকে?

কিন্তু তা অবশ্য জানে না সন্ধ্যা। একই রকম ভাবে এই সত্যের সঙ্গে অবগত নয় সন্ধ্যার স্বামী এবং তারার প্রেমিক আকাশনীল। হঠাৎ তারা কেন সম্পর্ক ভেঙে দিল তা বুঝে উঠতে পারছে না আকাশনীল। সে খুঁজে চলেছে তারাকে। আসলে শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকে সন্ধ্যার চরিত্রটিকে ভীষণ রকম পরিবার কেন্দ্রিক, দায়িত্ববান একটি চরিত্র বলে দেখানো হয়েছিল বিভিন্ন সময় আমরা সন্ধ্যার প্রতিবাদী রূপ দেখেছি।

গ্রামের মেঠো একটি মেয়ের মধ্যে দৃপ্ত মানসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শক। আর সেই কারণেই তো সন্ধ্যার শাশুড়ি বিজয়া মাঠানের পছন্দ হয়ে গিয়েছিল সন্ধ্যাকে।‌ তবে দিন দিন যেন ভীষণ রকম ভাবে সন্ধ্যার চরিত্রটিকে হাস্য রসাত্মক করে তোলা হচ্ছে। অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরার পূর্বতন ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর উর্মি চরিত্রটির ঝলক মিলছে সন্ধ্যার চরিত্রের মধ্যে। আর যা দেখতেই মোটেও ভালো লাগছে না দর্শকদের বলে জানাচ্ছেন তারা।

তার কেটে গিয়ে সন্ধ্যা এবার কি বলে বসলো পিসি ঠাম্মিকে?

বিভিন্ন রকমের উল্টোপাল্টা কাজ, চোখ মুখের অঙ্গভঙ্গি কোনভাবেই যেন আগের সন্ধ্যার সঙ্গে মিল নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদের ক্ষেত্রেও কৌতুকের ছোঁয়া। এই যেমন সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গেছে, কুটনি পিসি ঠাম্মা আর পিসিকে শাস্তি হিসেবে রান্নার নির্দেশ দিয়েছে আকাশনীল। তবে তারা শুধুমাত্র ভাত, ডাল আর কালো কালো আলু ভাজা রান্না করেছে আর যা দেখে মাথা গরম হয়ে যায় আকাশনীলের।‌ তা দেখি পিসি ঠাম্মি বলে এইটুকুই তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল। ছাগল দিয়ে কি আর হাল চাষ করা যায়? পিসি ঠাম্মির মুখে এই কথা শুনে সন্ধ্যা বলে ওঠে বলদ যদি ছাগলের মুখোশ পরে থাকে তাহলে সেই মুখোশ খুলে তাকে দিয়ে হাল চাষ করানো উচিত। তবে এই বলার ক্ষেত্রে সন্ধ্যার সেই আগের দৃঢ়তা নেই। বরং রয়েছে কৌতুকের ছোঁয়া। আর দর্শকরা চাইছেন তাদের পুরনো সন্ধ্যাকে যেন ফিরিয়ে আনা হয়।