‘মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা’। আমরা যারা বাঙালি তাদের কাছে আমাদের মাতৃভাষা মাতৃভূমির মতোই সম্মানের যোগ্য। তবে আজকাল একটা নতুন ফ্যাশন বা বলা যায় ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে যে ইংরেজি না জানলে উচ্চ শিক্ষা যেমন পাওয়া সম্ভব নয় তেমন ভালো মাইনের চাকরি পাওয়াও সম্ভব নয় বা বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে হেয় করার একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে। তবে বাংলা ভাষাতেও যায় এমন কিছু করা যায় যা গর্ভের হবে এবং একই সঙ্গে সম্মানের হবে। বাংলা ভাষার পক্ষেও সেটা কেউ ভাবতে চাইছে না।
বাংলা ভাষায় বাংলা সিনেমা
বাংলা সিনেমা অনেকটাই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বর্তমানের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, এবং তারপর এখনকার সময়ের সুপারস্টার দেব, জিৎ বা সোহম চক্রবর্তী এদের সকলের হাত ধরে বাংলা ভাষার বাংলা সিনেমা আজকাল গোটা দেশ জুড়ে বা বলা যায় বিশ্বজুড়েই সম্মান পাচ্ছে। সেই সঙ্গে একটা নতুন চল উঠেছে বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানোর। যার হয়ে প্রচার করছেন বিভিন্ন বাঙালি তারকারা।
দেবের লাইভ
তবে এর মধ্যেই বাংলা ভাষা নিয়ে এক ভিন্ন রূপ দেখা গেল সুপারস্টার দেবের। এখন অভিনেতার পরপর সব সিনেমা সুপারহিট হচ্ছে। বর্তমানে আসতে চলেছে বাঘাযতীন। জোর কদমে তার প্রস্তুতি এবং প্রমোশন চলছে অর্থাৎ প্রচার চালানো হচ্ছে তারকাদের পক্ষ থেকে বা গোটা টিমের পক্ষ থেকেই। সেখানেই এক লাইভে এসে বাংলা ভাষায় কথা বলতে গিয়ে হোঁচট খেলেন দেব। ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। এবার জানা যাক পুরো বিষয়টা।
দেব বাংলা নিয়ে ধমক দিলেন
দেবতার নতুন সিনেমা বাঘাযতীনের প্রচার করছিলেন এবং সেই সূত্রে গোটা টিমের এক স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। সেই স্কুল হল বাঘাযতীন স্কুল। তবে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে স্কুলের সদস্যরা এবং বা দেব নিজে ঔ সিদ্ধান্ত নেন যে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হবে। ফেসবুকে লাইভ শুরু করার পর প্রথমেই তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি কারণ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা সবাই অপেক্ষা করছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ‘তোমাদের রানী’র পর আবার টেন্ট সিনেমা প্রোডাকশন আনছে নতুন সিরিয়াল! দর্শকদের জন্য দারুন ট্যুইস্ট
আর এরপরেই হল সেই ঘটনা। দেব স্বাস্থ্য শব্দটা বলতে গিয়ে হোঁচট খেলেন। স্বাস্থ্য শব্দটিকে তিনি বলে ফেলেন স্বাস্থ্যতা। তারপরেই বলেন বাংলা ভাষা নিয়ে আমায় কোনও প্রশ্ন করবেন না। আসলে দেবের কেরিয়ার শুরুর দিকে তিনি নিজেও পরিষ্কার জানিয়েছিলেন যে বাংলা নিয়ে তার একটা সমস্যা রয়েছে কারণ তিনি বাঙালি হলেও বেশিরভাগ সময়টা মুম্বাইতে কাটিয়েছেন। তাই বাংলা উচ্চারণে একটা সমস্যা এবং জড়তা ছিল তার। তবে সেটা এই দীর্ঘ বছর ধরে কাটিয়েছেন আস্তে আস্তে। সেটা নিয়ে একইসঙ্গে প্রশংসা এবং কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে তাকে।