নিজের ভালোবাসাকে পেতে একজন বেস্ট ফ্রেন্ড আরেকজন বোনের সংসার ভাঙছে! মিশকা আর ময়ূরীর মত চরিত্ররা আছে বাস্তবেও

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) দুনিয়ায় শুধুমাত্র নায়ক নায়িকাদের রাজত্ব এমনটা একেবারেই বলা যায় না। ধারাবাহিকে খলনায়ক বা খলনায়িকা যদি না থাকে তাহলে যেন আসর জমে না। অনেক ক্ষেত্রেই তো আবার নায়ক নায়িকার থেকে খলনায়ক খলনায়িকা বেশি জনপ্রিয় হয়ে যায়। তাদের নিয়ে চর্চা হয় বহুগুণ বেশি।

অনেকেই বলে থাকেন পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করা সহজ। কিন্তু নেগেটিভ চরিত্র ততটাই কঠিন। কারণ একটা মানুষকে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হয়ে এই অভিনয় করতে হয়‌। আর প্রশংসার বদলে দর্শকরা যদি তাদের মন প্রাণ ভরে গালাগালি দেন, মারতে আসেন তাহলেই তাদের অভিনয়ের সাফল্য।

প্রসঙ্গত বলে রাখি আগে খলনায়ক খলনায়িকারা সম্পত্তি, ক্ষমতা এইসব লোভে নায়ক, নায়িকার পিছনে কাঠি করতেন।‌ তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতেন। বিশেষ করে দাদা-বৌদি, দিদি-জামাইবাবু, সৎ ভাই, সৎ বোন, কাকা-কাকিমা, বা পাড়ার বৌদি, এদেরকে আমরা খলনায়-খলনায়িকার চরিত্রে দেখে এসেছি। এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের খলনায়ক-খলনায়িকা হয়।

তবে সম্প্রতি বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় এমন দুই খলনায়িকাকে আমরা পেয়েছি যারা অত্যন্ত আপন হয়েও শুধুমাত্র প্রেমকে হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের সবথেকে কাছের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন। অবশ্যই বুঝতে পারছেন কাদের কথা বলছি। একজন স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা। অন্যজন ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের নায়িকা ময়ূরী।

অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড সূর্যকে ভালোবাসে আর তাই সূর্যকে পাওয়ার জন্য সে যে কোন‌ও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত। বেস্ট ফ্রেন্ড তো মানুষের জীবনে অন্যতম আপন কাছের মানুষ হয়। যার সঙ্গে মন খুলে সমস্ত কথা বলা যায়, যাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা যায়, যে পাশে থাকলে ভরসা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই যদি বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ঘর ভেঙে দেয়? বাস্তব জীবনে কি দেখা মেলে এই ধরনের প্রিয় বন্ধুর? আপনাদের অভিজ্ঞতা আছে?

আরও পড়ুনঃ জানেন কি ‘জল থই থই ভালোবাসা’র অপরাজিতার মেয়ে ‘তোতা’ আসলে কে? রইল তাঁর পরিচয়

একই রকম ভাবে আরও এক কাছের মানুষের কথা না বললেই নয় তিনি অবশ্যই ইচ্ছে পুতুলে মেঘের দিদি ময়ূরী। আপন মায়ের পেটের বোনের সঙ্গে সে এমন ব্যবহার করে যা কোন শত্রুও কারর সঙ্গে করতে পারে না। বলা হয়ে থাকে দিদি মাতৃ সমান। মায়ের পরেই তার স্থান। কিন্তু কারোর দিদি যে এইরকম পরিমাণ বদমাইশি করতে পারে কারর সঙ্গে তা কল্পনারও অতীত। বাস্তব জীবনে কি কখনও এইরকম কোন দিদিকে দেখেছেন?

Back to top button