বেশ জমজমাট পর্ব চলছে অনুরাগের ছোঁয়া ( Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে। একদিকে নির্দোষ সূর্যকে নিজের হত্যার দায়ে মিশকা জেলে পাঠিয়েছে আর অন্যদিকে দীপাও পুলিশের নজরে রয়েছে। সূর্য জেলে যাওয়ার পর থেকে মিশকা একের পর এক চেষ্টা করে চলেছে দীপার ক্ষতি করার বা তাকে শেষ করে দেওয়ার। তবে প্রতিবার দীপার বিচক্ষণতার জন্য সে ব্যর্থ হচ্ছে।
আগের পর্ব
গত পূর্বে দেখা গেছে যে সোনা রুপা থাকতে না পেরে নিজের বাবার সঙ্গে থানায় দেখা করতে চলে এসেছে এবং সেটা নিয়ে রীতিমতো রাগারাগি করছে পুলিশ অফিসার রোশনি দত্ত। যদিও বাচ্চাদের কান্নাকাটি এবং শুকনো মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে পুলিশ অফিসার তাদের মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করল যে তাদের বাবা নির্দোষ হলে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাবে।
আজকের পর্ব
আজকের পর্বে আমরা দেখব যে মিশকা আবার এক চা বিক্রেতার স্ত্রীর ছদ্মবেশে দেখা করতে এসেছে সূর্যের সঙ্গে। তার হাতে চায়ের কাপ আছে যেটা সে সূর্যকে দেয়। তবে সূর্য খেতে চায় না আর তখন সূর্য দীপাকে সেই চা খেতে বলে। দীপা সেটা খেতে চায় না কিন্তু সূর্য জোর করায় দীপা মিশকার হাত থেকে চা নিতে গেলে মিশকা মনে মনে ঠিক করে সে সূর্যের জন্য চা এনেছে তাই সেটা অন্য কাউকে দেবে না। চা সে ফেলে দেয়। আর এতে দীপার মনে সন্দেহ হয়। এরপর সে বাড়ি যায় আর
এইদিকে পুলিশ অফিসারের কাছে সিসিটিভি ফুটেজের একটা প্রমাণ আসে যেখানে দেখা যায় দীপা এবং তবলা মিশকার বাড়ির সামনে গেছে। এটা দেখে পুলিশ অফিসার দীপাকে জেরা করতে যায় আর তখন দীপা পুলিশকে তার আসল কাজ বুঝিয়ে দেয়। পুলিশ অফিসার একজন নির্দোষকে জেলে ভরে যে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাকে না ধরে দীপা ক্রাইম স্পটে গিয়ে অনৈতিক কাজ করেছে বলে তাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইছে। এতে চুপ করে যায় সেই পুলিশ অফিসার।
আর এদিকে জীবিত অবস্থায় সূর্যকে না পাওয়ায় এবার সূর্যের মৃত্যুর পর সূর্যকে কাছে পেতে মিশকা চরম খেলা খেলে। সে সূর্যর খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয় যাতে সূর্য সহজেই মারা যাবে আর দীপা তাকে পাবে না। নিজের হাত করা পুলিশ কর্মীকে দিয়ে সূর্যকে কফি পাঠায় যেটায় সেই বিষ মিশানো ছিল। সূর্য দুধ আর কফি প্রথমে খেতে না চাইলেও শেষে সে কফি খেতে রাজি হয় এবং তারপরেই তার শরীরে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। জেলের অন্যান্য পুলিশকর্মীরা ছুটে আসে তাকে দেখতে এবং পুলিশ অফিসারকে ফোন করে জানায় সূর্যের অবস্থার কথা। সেনগুপ্ত বাড়ির সবাই সেখানে থাকায় তারাও জেনে যায় এবং হসপিটালে এসে দীপা দাবি করে যে কেউ তার ডাক্তারবাবুকে মারতে চেয়েছে। সে ঠিক করে হসপিটালে নিজের ডাক্তার বাবুর সঙ্গে দেখা না করে সে বাড়ি ফিরবে না।