আজ কাঠগড়ায় উঠবে সূর্য! তার আগে শেষবার দীপাকে কষে জড়িয়ে ধরল তার ডাক্তারবাবু! আজ ‘সূদীপা’ মুহূর্ত

এই মুহূর্তে স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালকে (Anurager Chhowa) টেক্কা দেবে এমন সিরিয়াল দেখা যাচ্ছে না। টিআরপি হোক বা জনপ্রিয়তা হোক সব দিক থেকে সবার সেরা হয়ে রয়েছে এই সিরিয়াল। এর মূল কারণ হিসাবে বলা যায় যে সূর্য এবং দীপার কেমিস্ট্রি, তারপর বিচ্ছেদ, তারপর আবার এক হওয়া এবং এখন দুজনের মাঝখানে মিশকা যে বড় চাল চেলেছে সূর্যকে কাছে পাওয়ার জন্য সেই সবকিছুরই কৃতিত্ব।

এই সিরিয়ালে মূল ভিলেন বলতে একমাত্র মিশকা। সে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড সূর্যকে ভালোবাসে এবং তাকে কাছে পাওয়ার জন্য যে যে কোনও চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে রাজি আছে সেটার প্রমাণ দর্শকরা পেয়ে গেছে। এখন সূর্যর স্পা র্ম নিয়ে প্রেগনেন্ট হয়ে পড়েছে সে আর সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই সূর্য বা দীপা কারুর।

তারপরেই আসে মিশকার খুনের তদন্ত। আরে কারণেই নিজের প্রিয় বন্ধুকে হত্যা এবং দেহ পাঠ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ডাক্তার সূর্য সেনগুপ্তকে। তবে দীপা নিজের বিশ্বাসের অবিচার এবং সে ঠিক করেছে দেবীপক্ষের আগেই সূর্যকে নির্দোষ প্রমাণ করে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবে সে বাড়িতে। তবে মিশকা প্রতি পদে পদে তাদের জন্য যে বিপদ নিয়ে আসছে তাতে সূর্যের মুক্তি পাওয়া আরো কঠিন হয়ে পড়ছে।

আজকের পর্বে

ইতিমধ্যেই দেখা গেছে যে মিশকা ডাক্তারের ছদ্দবেশে সূর্যকে রীতিমতো শাসিয়ে গেছে এবং তার সন্তাদের এবং দীপার ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে গেছে। আর সেই ভয়ে ভীত হয়ে সূর্য মিশকার সব কথা মেনে নেওয়ার কথা দিয়েছে। এরপর আজ দেখা যাবে যে পুলিশ অফিসার এসে সূর্যকে বলে আজ তাকে কাঠগড়ায় তোলা হবে। সূর্য এতে নির্মিত থাকে এবং পুলিশ অফিসার তাকে বলে যে আজ সে দোষী প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সূর্য সেখানেই তাকে আটকে দেয় এবং বলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে অথবা এর থেকে বেশি কিছু হলেও সে তার জন্য প্রস্তুত আছে। ওদিকে সেনগুপ্ত বাড়িতে দেখা যায় যে সোনা রূপা আর বাকিরা কেউ সারারাত ঘুমায়নি আর মহালয়া শুরু হতেই সোনা আর রূপা সেটা নিয়ে তাদের দাদু দিদাকে প্রশ্ন করে। সকলে মিলে তাদের বোঝায় যে দেবী অশুভ বিনাশ করতে আসে এই সময়। তখন তারা বলে তাদের মাও এরকম দুর্গা। এরপর দীপা সেখানে আসতেই সোনা আর রুপা বলে তাদের মাকে যে সে দুর্গা।

এদিকে মিশকা সিঁদুর কৌটো আর মঙ্গলসূত্র তৈরি রেখেছে সূর্যকে বিয়ে করার জন্য। সে মনে মনে নিশ্চিন্ত যে এবার সূর্য তাকে ছাড়া আর কারো কাছে যেতে পারবে না। আর কারোর কথা ভাবতেও পারবে না। এদিকে দীপা হসপিটালে আসে এবং পুলিশ অফিসারকে তার সন্দেহের কথা বলে যে তার মনে হচ্ছে মিশকা তাদের আশেপাশেই আছে এবং এখানেও সূর্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আর এতেই পুলিশ অফিসারের মনে সন্দেহ হয় এবং তিনি আবার এক পুলিশ কর্মীকে ডেকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর কথা বলেন। সে পুলিশ কর্মী জানায় সিসিটিভি খারাপ এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অফিসার তাকে সাসপেন্ড করার ভয় দেখিয়ে সিসিটিভি ঠিক করার নির্দেশ দেন। এদিকে দীপা সূর্যের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও সূর্য পুলিশ অফিসার কে জানায় সে দেখা করবে না কারণ তার ক্লান্ত লাগছে। দীপার মনে সন্দেহ হয় এবং সে যে করে সূর্যর কাছে যায় এবং তার কাছ থেকে জানতে চাই যে কেন তার স্বভাব পাল্টে গেছে এবং কি চিন্তা হচ্ছে তার মনে। এমনকি সে এও বলে যে বাচ্চারা বাড়িতে পুজোর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এবং বাবা ফিরলেই তারা কোথায় কোথায় যাবে কি খাবে এবং কোথায় কোথায় ঘুরবে সে সমস্ত প্ল্যান করছে। তখনই সূর্য মুখ ফস্কে বলে দেয় যে সে এসব কিছু করতে পারবে না কারণ মিশকা তাকে বাড়ি ফিরে যেতে দেবে না। আরে তুই দীপন মনে সন্দেহ হয় এবং সূর্যকে জোর করায় সে বলে যে জেলে চা দিতে এসেছিল মিশকা। আরো এক জায়গায় এসেছিল এমনটা বলতেই দেখা যায় তখন সেখানে মিশকা ডাক্তারের ছদ্মবেশে উপস্থিত কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারে না কারণ দীপা আছে। তবে ফোনে সূর্যকে বলে দুটো মেয়ের কথা ভাবলো না একবার। এতেই আবার ভয় পেয়ে যায় সূর্য।