একটি কথা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি বা বলে থাকি ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ অর্থাৎ প্রত্যেকের কাছেই প্রত্যেকের ধর্মের গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু অন্য ধর্মের উৎসবে শামিল হওয়ার অধিকারও তেমনভাবেই রয়েছে। আর তাই যে সমস্ত মানুষেরা হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টানের ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের উৎসবে মেতে ওঠেন তাদের সব সময়ই স্বাগত।
বাংলা এখন মুখরিত দূর্গা মায়ের আরাধনায়। এই বছর তো মহালয়ার প্রাক্কাল থেকেই দুর্গা ঠাকুর দর্শন করা শুরু হয়ে গেছে। শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, আর শিউলি ফুল জানান দেয় বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব আসন্ন। এই দুর্গা উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে প্রত্যেকটা বাঙালি। আকাশ বাতাস মুখরিত হবে মাতৃ বন্দনায়। পাঁচ দিনের জন্য মা আসছে ঘরে।
আর মায়ের উৎসবে মেতে ওঠে তার প্রত্যেকটা সন্তান। সেখানে ভেদাভেদ হয়না হিন্দু মুসলিমের। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন আমাদের সমাজে যারা নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী হয়েও হিন্দু উৎসবকে আপন করে নিয়েছেন। আর তাদের মধ্যেই একজন হলেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বিভিন্ন রকমের ঝড়-ঝাপ্টা বয়ে গেছে এই অভিনেত্রীর উপর দিয়ে। তবে তিনিও যেন মা দুর্গার মতোই সবদিক সমানভাবে সামাল দিচ্ছেন।
প্রত্যেক বছরই দুর্গা উৎসবে মেতে ওঠেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। শুধু দুর্গা উৎসব কেন? হিন্দু ধর্মের প্রতিটি উৎসব কি আপন করে নিয়ে উদযাপন করেন তিনি। অনেকেই তার এই ভিন ধর্মের উৎসবে শামিল হওয়াকে ভালো চোখে দেখেন না। আবার অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তের জন্য তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। এই বছর মহালয়াতেও মা দুর্গার রূপে হাতে ত্রিশূল তুলে নিয়ে অসুর বধ করে সবাইকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
তার শারদ শুভেচ্ছায় মুগ্ধ হয়েছে সবাই। টলি অভিনেত্রীর পরনে ছিল লালপেড়ে সাদা শাড়ি। হাতে ছিল পদ্ম ফুল। প্রত্যেক নারীর মধ্যেই যে মা রয়েছেন, সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিওতে। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শুভ মহালয়া।’ একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও বাঙালির আবেগকে ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন।