বাংলা সিরিয়ালে বেশ কিছু গল্প থাকে যেগুলো ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবার বিতর্কিত হওয়ার জন্য দর্শকদের মনের মধ্যে গেঁথে যায়। গল্প ভালো হোক না হোক, চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া চলতেই থাকে। আর সেখানেই গল্পের স্বাতন্ত্র্য ফুটে ওঠে। একটা সিরিয়াল তখনই জনপ্রিয় হয় যখন গল্প জোরদার হওয়ার পাশাপাশি চরিত্রগুলোকেও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়।
আজকাল মানুষ নেগেটিভ বিষয় বেশি পছন্দ করে বা বলা যায় তার প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশি। বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে যেগুলো নেগেটিভ বেশি সেগুলোর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে তারা। বর্তমান সময়ে দুটো সিরিয়ালের প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়ে যায়- গুড্ডি এবং ইচ্ছা পুতুল। গুড্ডি যদিও শেষ তবে তাকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা বা তুলনা শেষ হয় না।
এবার আসার যাক ইচ্ছে পুতুল সিরিয়ালের রূপের প্রসঙ্গে। সে গিনিকে বিয়ে করেছে শুধুই বাবার কথা রাখতে। কারণ বাবার এই কথাটা না শুনলে বাবা তাকে টাকা পয়সা দিত না। সে নিজে উপার্জন করে না আর সেটা আগে জানতো না গিনি। এদিকে বিয়ে করার পর রূপকে হাত খরচা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তার বাবা। আর এখানে বড় একটা খেলা খেলেছে রূপ। সে এখন গিনিকে ব্ল্যাকমেইল করে বাবার কাছ থেকে টাকা চায় বা তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। এদিকে বিয়ের আগে থেকেই প্রচুর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তার। একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে নয় সে।
ওদিকে গুড্ডি সিরিয়ালের গুড্ডি নামক চরিত্রটি অনুজের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এদিকে তার দিদির সঙ্গে অনুজের বিয়ে হলেও দুজন গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এরপর দুজনের বিয়ে হয় কিন্তু তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। তবে তার পরেও অনুজ গুড্ডিকে ভুলতে পারে না। একসঙ্গে রাত কাটায়। এরপর গুড্ডি যুধাজিতকে বিয়ে করে নিজে।অনুজ মারা যায়। আর এরপর আবার অনুজের জমজ ভাই অংকুশ আসে। অনুজের মত দেখতে বলে গুড্ডি তাকে ভালবেসে ফেলে। অংকুশও গুড্ডিকে পছন্দ করে আর এরপর দুজনের বিয়ে হয়।
আর এভাবেই এই দুটো চরিত্র নিয়ে কেউ কেউ রেগে গেছে আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করে অহরহ। তবে এর মধ্যে দিয়েই তারা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।