অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে এখন টানটান উত্তেজনার পর্ব চলছে। মিশকা সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরে আসার পরে নতুন ঝড় শুরু হয়েছে সূর্য এবং দীপার মাঝে আর সেই ঝড় হল মিশকার সন্তান। এবার তার জন্যই কি আলাদা হবে সূর্য আর দীপা?
রুপার উপর দোষ চাপায় মিশকা
মিশকার সন্তান কাঁদছে আর সেই সময় সোনা রুপা এখানে আসে তাদের ভাইকে সামলাতে। মিশকা সেটা দেখে ফেলে আর তখনই তার মনে একটা প্ল্যান আসে। সোনা চলে যেতেই শুরু পাকে এসে চিৎকার করে প্রশ্ন করে যে কেন বাচ্চার গায়ে হাত দিয়েছে। রুপা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে মিশকা নিজেই আলমারিতে তার বাচ্চাকে বন্দী করে চিৎকার করতে থাকে যে বাচ্চাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে দীপা উদ্ধার করে বাচ্চাটিকে আলমারির ভেতর থেকে। তখন মিশকা রুপার উপর দোষ চাপায় যে সেটা করেছে কারণ তাকে ঘরে আসতে দেখেছিল। একমাত্র দিপাতার বাচ্চাদের সমর্থন করে কিন্তু লাবণ্যও সোজা রুপাকে প্রশ্ন করে যে কেন সে এটা করল। সূর্য চুপ থাকে।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যায় যে গতকাল মিশকা দাবি করে তার সন্তানকে ইচ্ছে করে আলমারিতে ঢুকিয়ে রেখে মেরে ফেলতে চেয়েছিল রুপা। তারপরে সে নিজের বাবাকে ফোন করে এবং সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে যেতে বলে এবং সেই কথা মত মিশকার পাপাই এসেছে সেনগুপ্ত বাড়িতে। তবে সে একা আসেনি, নিয়ে এসেছে ডিভোর্স নামক ঝড়। সূর্য আর দিপার মিউচুয়াল ডিভোর্স পেপার নিয়ে এসেছে সঙ্গে করে যাতে বাড়ির বড় বৌমাকে দূর করে সারা জীবনের মতো মিশকাকে বাড়ির বড় বউ করে নেয় তারা।
প্রথমে ভদ্রলোক মিশকাকে সেখান থেকে নিয়ে যাবার প্রস্তাব দিলে লাবণ্য তাতে রাজি হয় না বাচ্চাটার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। তখন সে ডিভোর্সের প্রস্তাব দেয়। লাবণ্য পাল্টা বলে মিশকা জীবনে কম অন্যায় করেনি কিন্তু তখন তার বাবা উত্তরে বলে হ্যাঁ সে জানে যে মিশকা কম অন্যায় করেনি কিন্তু তার মানে এটা নয় যে এখন যেটা হচ্ছে তার সঙ্গে এটা তাকে মেনে নিতে হবে। তার পাল্টা প্রশ্ন একজন মায়ের শারীরিক যত্ন নেওয়াটাই কি যত্ন? তার মানসিক যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই? এরপরে সেই লোকটি দাবি করে যে ছয় বছরের ছোট বাচ্চা রুপা একেবারে পাক্কা ক্রিমিনালদের মতো কাজ করেছে তাই ওর জন্য যদি মিশকার বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় তাহলে ওর বিরুদ্ধেও স্টেপ নিতে বাধ্য হবে তারা। ভদ্রলোক লাবণ্যকে সোজাসুজি দুটো অপশন দেয় যে হয় মিশকা এবং তার সন্তান এই বাড়িতে থাকবে আর তা না হলে তার বড় বৌমা দীপা থাকবে। এ প্রস্তাবে লাবণ্য সরাসরি না বলেনি বরং ভদ্রলোককে বলে একটু সময় দিতে।
লাবণ্য মুখে এমন কথা শুনে এবং সূর্যকে চুপ থাকতে দেখে প্রচন্ড ভেঙে পড়ে দীপা। সবাই যে যার ঘরে চলে যাওয়ার পর দীপা আশা করে সূর্য তার কাছে আসবে কিন্তু না সূর্য মিশকার সন্তানের কান্না শুনে তাকে সামলাতে যায়। সূর্যের বাবা প্রবীর তাদের চেনাশোনা উকিলকে ফোন করতে যায় কিন্তু লাবণ্য তাকে আটকে দেয়। সে লাবণ্যকে বলে মিশকাকে চলে যেতে দিতে কিন্তু লাবণ্য আটকা পড়ে ওই সন্তানের মায়ায় কারণ সন্তান যে তাদেরই নাতি। দীপার ভালোর কথা ভেবে লাবণ্য ডিভোর্সের ব্যাপারে রাজি হয়ে যায়। তবে সূর্য তাকে বলে দেয় সেটা করতে পারবে না তাই তাকে জোর না দিতে।