শিমুলকে খু’নের ষড়যন্ত্র করেছে ছোট ছেলে আর তার হবু বউ! পলাশের বিয়েতে থাকবো না! জানাল প্রতিবাদী মধুবালা

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন সময় রাজত্ব করেছেন অভিনেত্রী মানালি দে (Manani Dey) । বউ কথা ক‌ও থেকে তার ধারাবাহিকের পথ চলা শুরু হয়েছিল। এরপর অজস্র সফল ধারাবাহিক। আর এখন ফের একবার বাংলা টেলিভিশনের টিআরপি তালিকায় রাজত্ব করছেন তিনি। জি বাংলার পর্দায় এখন ছুটে চলেছে তার নতুন ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা।

এক সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকটি তথাকথিত নায়ক-নায়িকার গল্প নয়। এখানে গল্পের ভিলেন হচ্ছে নায়ক। আসলে আজও সমাজে নারীদের ওপর শো’ষ’ণ, অ’ত্যা’চা’রে’র গল্পকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। আর যা দেখতে ভালই লাগছে দর্শকদের।

বধূ নি’র্যা’ত’ন আজকের ঘটনা নয়। এই সমাজের এক পুরনো প্রাচীন কঠিন রোগ। আর যার বিনাশ করা এত সহজে সম্ভব নয়। শিমুলের শাশুড়ি ও একদা বধূ নি’র্যা’ত’নে’র শিকার। শিমুলের সঙ্গে পরাগের বিয়ের পর নিতান্তই খারাপ চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু পরবর্তীতে শিমুলের ছোঁয়ায় নিজের সেই বাইরের কঠিন মোড়ক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। বলতে পেরেছেন নিজের মনের কথা।

এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে আমরা দেখেছি নায়িকা শিমুলের স্বামী-দেওর পরাগ এবং পলাশ ও পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা শিমুলকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। শিমুলের সিদ্ধির গ্লাসে বি’ষ মিশিয়ে শিমুলকে চিরতরে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করার চেষ্টা করে। এই অপরাধ যে পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষা মিলেই করেছে সেটা সবাই জানত। আর তাই শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা শিমুলকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার স্বামী, দেওর এবং দেওরের হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু হঠাৎই পাল্টি খায় শিমুল। নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়ে বাঁচিয়ে দেয় তাদের। আর শিমুলের এই সিদ্ধান্তকে তার পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধুদের পাশাপাশি তার শাশুড়িও মেনে নিতে পারেননি।

এই ধারাবাহিকে আগামী কিছুদিনের মধ্যে পলাশ এবং প্রতীক্ষার বিবাহ পর্ব দেখানো হবে। বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পলাশ এবং প্রতীক্ষা। তারা এই বিষয়ে মধুবালার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন পলাশের বিয়েতে আমি থাকবো না! আর তার এই কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ে পলাশ এবং প্রতীক্ষা। শিমুল বাঁচালেও আসলে মধুবালা দেবী বিশ্বাস করেন শিমুলকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে ছোট ছেলে আর তার হবু বউ। আর তাই অপরাধীদের বিয়েতে থাকতে চান না তিনি। মধুবালা দেবীর এই প্রতিবাদ প্রশংসনীয়।