বাবা হয়ে সূর্য যেটা করতে পারেনি সেটা একদিনেই করল অর্জুন! সোনা-রুপার জন্মদিনের পার্টিতে হাজির সূর্যও! আজ হবে ধামাকা

অনুরাগের ছোঁয়া ( Anurager Chhowa) সিরিয়াল এই মুহূর্তে বেশকিছু অনুর পালট করা ঘটনা চলছে সূর্য আর দীপার জীবনে। সূর্য আর দীপা ডিভোর্স পেপারে সই করে দিয়েছে। মিশকা তার সন্তানকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতেই থাকছে। আর ওদিকে দীপা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। সূর্য এবং দীপা মিশকার এক বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।

লাবণ্য মিশকাকে চুপ করিয়ে দেয়

মিশকা মিছিমিছি তার সন্তান অসুস্থ হয়েছে এমন ভান করে সূর্যের কাছে ছুটে যায় এবং সূর্য কিছু বুঝতে না পেরে হসপিটালে ফোন করতে বলে। তারপর মিশকা হসপিটালে ডাক্তারকে হাত করিয়ে তার সন্তানকে ৪৮ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখার কথা বলে। সূর্য এবং লাবণ্য বাধ্য হয়ে হসপিটালে থাকে। বিলে সই করতে গিয়ে সূর্য তারিক দেখে মনে পড়ে আজ তার দুই মেয়ের জন্মদিন তাই তাকে তাদের কাছে যেতেই হবে। সূর্য যায় আর ঠিক তখনই মিশকা লাবণ্যকে বলে সূর্য যদি ফিরে না আসে তাহলে ও ওর সন্তানকে ছেড়ে চলে যাবে। তখন লাবণ্য তাকে উচিত জবাব দেয়। লাবণ্য বলে যে লাবণ্য জানে মিশকা কি করতে পারে তাই সে সন্তানকে ছেড়ে চলেও যেতে পারে। তবে তবুও তাকে বলে সে যেহেতু মা হয়েছে তাই এখন তার বুঝে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব

আজকের পর্বে শুরুতেই দেখা যায় যে দীপা আর উর্মি তাদের পুরনো স্কুলের অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে। অর্জুন দীপার পাশে বসে এবং আস্তে আস্তে তাদের পুরস্কার বিতরণী পর্ব শুরু হয়। যথারীতি একদম শেষে ডাক পড়ে স্কুলের দুই কৃতি ছাত্র-ছাত্রী অর্জুন এবং দীপার। তবে তার আগে শুরুতে তাদের স্কুলের প্রিন্সিপাল তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে খুশি হয় কিন্তু সেই প্রিন্সিপাল মনে মনে ভাবে তারা হয়তো বিয়ে করেছে একে অপরকে। তাই অর্জুনকে তার ডাক্তারির ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এই কৃতিত্ব সে প্রিন্সিপাল দেন তার বউ হিসেবে দীপাকে।

এদিকে অর্জুন আর দীপা একসঙ্গে স্টেজে ওঠার পর পুরস্কার নিতেই দর্শক আসনে বসে থাকা বাকি সবাই তাদেরকে গান গাইতে অনুরোধ করে। তবে এর মধ্যেই দেখা যায় অর্জুন সোনা রুপার জন্য একটা বিশেষ আয়োজন করেছে কাউকে কিছু না বলে একেবারেই সারপ্রাইজ হিসেবে। সেই রেজিস্ট্রারে দুজনের জন্ম তারিখ দেখে জানতে পেরেছে আজই তাদের জন্মদিন আর তাই সেই জন্য তাদের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে গোপনে সব আয়োজন করে নেয় অর্জুন।

দীপা, উর্মি জয় সবাই অবাক হয়ে যায় যে অর্জুন কি করে দুজনের জন্মদিনের কথা জানতে পারল। অর্জুন মজা করে দীপাকে ভয় দেখায় যে সে দীপার উপর লক্ষ্য রাখছে একজন লোক লাগিয়ে। দীপা কখন কোথায় যাচ্ছে কি করছে সমস্ত কিছু সেই লোক অর্জুনকে এসে খবর দিয়ে দিচ্ছে। পরে যদি অর্জুন হেসে সবকিছু উড়িয়ে দেয়। তবে জয় দীপাকে বলে যে ওরা প্রচন্ড খুশি যে বাবা না আসায় ওদের মনে যে দুঃখ ছিল সেটা অর্জুন ভুলিয়ে দিল। ওদিকে সূর্য অনুষ্ঠানের জায়গায় এসে পৌঁছে যায়।