মেয়ের কু’কর্মের কথা বলে দিয়ে প্রতীক্ষার মায়ের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দিল শিমুল! চোখের জলে নাকের জলে ভাসছে প্রতীক্ষা

এই মুহূর্তের দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে ওই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । বর্তমানে এই ধারাবাহিকটিতে মজে রয়েছেন বাঙালি দর্শকরা। আর থাকবেন নাই বা কেন? কোন ধারাবাহিকের গল্প এবং অভিনেতা- অভিনেত্রীদের অভিনয় যদি এতটা জমাটি এবং শক্তপোক্ত হয় তাহলে সেই ধারাবাহিক দেখার প্রতি দর্শকদের একটা আলাদা টান তৈরি হয়। আর সেটাই হয়েছে এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে।

গল্প অভিনয় সবকিছু মিলিয়েই এই ধারাবাহিকের প্রতিটা পর্বে এখন চরম রকমের উত্তেজনা। আর সেটাই স্বাভাবিক। অপরাধী যখন নিজের অপরাধের শাস্তি পায় তখন তা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় বৈকি! আর কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে এখন তিনজন অপরাধীর শাস্তি পাওয়ার পালা। পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা তিনজন মিলে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল শিমুলকে।

ইতিমধ্যেই শিমুলকে টাকা দিয়ে নিজের শাস্তি ভোগ করছে পরাগ। কিন্তু এখনও উপযুক্ত শাস্তি পায়নি পলাশ এবং প্রতীক্ষা। সামনেই দুজনের বিয়ে। আর তাদের বিয়ে উপলক্ষে প্রতীক্ষার বাবা এবং মা এসেছিল শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে। প্রতীক্ষার মা তার মতোই কু’চু’টে, ঝ’গ’ড়ু’টে এবং জাঁ’দ’রে’ল মহিলা।

তিনি বাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই শিমুলকে অপমান করতে শুরু করেন। পরাগের সঙ্গে তার সম্পর্ককে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। পুতুলকে হাবলি বলে অপমান করেন। আর প্রতীক্ষার হবু শাশুড়িমাকে অর্থাৎ মধুমালা দেবীকে তার সামনেই বলেন আপনি তো পাড়ায় নেচে বেড়ান। আর মায়ের কথায় সমানে ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছিল প্রতীক্ষা। ‌

আর নিজের শাশুড়ি ননদের এই অপমান চুপ করে সহ্য করেনি শিমুল। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সে। সে প্রতীক্ষার মায়ের মুখ বন্ধ করে দিয়ে বলে আপনার মেয়ে তো চাকরি-বাকরি হারিয়ে শ্রীঘরে থাকার কথা ছিল। আমার জন্য বিয়ে হচ্ছে। শিমুলের এই কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় প্রতীক্ষা। চমকে ওঠে তার বাবা-মা। প্রতীক্ষার অপকর্মের কথা জানতে উদগ্রীব হয়ে পড়ে তারা।

শিমুলের কথা শুনে ভয়ে চোখ ভরে জল চলে আসে প্রতীক্ষার। সেই সময় সেখানে উপস্থিত পরাগ, পলাশ শিমুলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তাদেরকেও ঠান্ডা করে দেয় শিমুল। জানিয়ে দেয় তার কাছে প্রমাণ রয়েছে। তখন পুলিশে যায়নি বলে এখন যাবে না সেটা নাও হতে পারে। শিমুল কি তবে জানিয়ে দেবে আসল সত্যি? জানতে হলে দেখুন কার কাছে ওই মনের কথা।