এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকরা যে ধারাবাহিকটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন যে ধারাবাহিকটি দেখে তারা অভিভূত, সেই ধারাবাহিকটির নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । কিছু কিছু ধারাবাহিক এমন হয়ে থাকে যেগুলি অচিরেই দর্শকদের মন জিতে নেয়। আর সেই রকমই একটি ধারাবাহিক হল জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা। এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের কাছে এই ধারাবাহিকটি হট ফেভারিট ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে। আর তাই টিআরপি তালিকাতেও এখন রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিকটি। বাঙালি দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকটিতে বুঁদ হয়েছেন।
এই ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে শিমুলকে নিজের মাইনের অর্ধেক দিয়ে দেওয়ার জন্য হাতে টাকা থাকছে না পরাগের। আর সেই কারণে অতিরিক্ত টাকা রোজগার করার জন্য টিউশনি করা ধরেছে সে। তবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পড়ানো নয়। একেবারে তরুণী এক মেয়েকে অঙ্ক পড়ানো ধরেছে সে।
তবে সেখানে আদৌ পড়াশোনা হয়না, হয় প্রেমালাপ, ফ’ষ্টি’ন’ষ্টি। নিজের ছাত্রীর সঙ্গে লু’চ্চা’মি করতেও তার বাধেনা। ঘরে পড়াশোনা করার বদলে নিজের স্যারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছাত্রী। স্যারের অবস্থাও তেমনই। ছাত্রীর সিনেমা দেখা হয় কিনা, কি ভালোবাসে কি বাসেনা সব জানতে চায় পরাগ। এমনকি ছাত্রী প্রেম করে কিনা সেটাও জেনে নেয় সে। শুধু তাই নয় নিজের সংসারে বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি সবটাই নিজের নতুন ছাত্রীর সঙ্গে ভাগ করে নেয় পরাগ।
এমনকি ওই ছাত্রীর প্রতি তার যে পূর্ব অনুরাগ ছিল সেটাও জানিয়ে দেয় পরাগ। এই মেয়েকে পরাগের কাছে পাঠিয়েছে শিমুলের হবু জা প্রতীক্ষা। প্রিয়াঙ্কার মূল উদ্দেশ্য, পরাগকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে শিমুলকে তাড়ানো। এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, পলাশের বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই শিমুলের হাত ছেড়ে খানিকটা এগিয়ে যায় পুতুল। আর যেতে গিয়ে সে ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে যায় শতদ্রুর গাড়ির সঙ্গে। অর্থাৎ শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক। তখন শিমুল তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এখানে এসেছে? জবাবে শতদ্রু শিমুলকে বলে এটা তার একার জায়গা নয়। তাই সে আসতেই পারে। আর এখানে তাদের রিজওনাল অফিস রয়েছে তাই তাকে কাজের জন্য আসতে হয়েছে।
এরপর শিমুলকে সে বলে, আমি ছিনে জোঁক, একবার যাকে ধরি তাকে সহজে ছাড়ি না! এরপর পুতুলের আব্দার রাখতে শতদ্রু তুতুল, পুতুল, শিমুলকে নিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় যায় খেতে। কিন্তু সেখানেই শিমুলকে দেখে ফেলে প্রিয়াঙ্কা। স্যারের বউকে অন্য পুরুষের সঙ্গে দেখে তার চোখে আলো খেলে যায়। ষড়যন্ত্র করার নতুন অস্ত্র পেয়ে যায় সে। এবার কী করবে সে।