নন্দিনীদি (Viral Nandini Di) আর তাঁর ডালহাউসির পাইস হোটেলের চর্চা ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে। শুধু এই দেশে নয়, আজকাল সুদূর বাংলাদেশ থেকেও নন্দিনীর হাতের খাবারের স্বাদ নিতে আসেন বহু মানুষ। প্রতিদিনই তাঁর ভাতের হোটেলে থাকে খদ্দেরদের লম্বা লাইন। ইউটিউবার, ফুড ভ্লগাররা তো আছেই, রয়েছে অফিসপাড়ার লোকজনও। নন্দিনীদির কথায়, মা অন্নপূর্ণার কৃপা আছে তাঁর উপর। তাই বেলা তিনটের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় ভাতের হাঁড়ি।
অনেক ছেলেরই হার্টথ্রব এই নন্দিনীদি। তবে নন্দিনীদিকে টেক্কা দিতে বাজারে এসেছে আরও দুই দিদি। কালী আর মিষ্টি। চাঁদপাড়ায় স্টেশনের পাশেই ভাতের হোটেল তাঁদের। এই হোটেলে মটন ভাত শুরু মাত্র ৮০ টাকা থেকে। খাবারের স্বাদ যেমন একঘর। দামও মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে।
হোটেলের সিংহভাগ রান্না করেন কালীদির বোন মিষ্টি দি। এবার এই মিষ্টিদির উপর ক্রাশ খেয়েছে নেট নাগরিকদের একাংশ। এক ইউটিউবারেরা ভিডিওতে কমেন্ট করে জানিয়েছেন সেই কথাও। মিষ্টিদি নাকি তাঁদের ক্রাশ। আর সেই কথা মিষ্টিদিকে বলতেই লজ্জায় লাল তিনি। তবে বললেন, ‘আমাকে কেউ পছন্দ করেছে, এতো ভাল। আমার সৌভাগ্য।’
মিষ্টিদির আরও সংযোজন, জীবনে অনেক ঠকেছেন তিনি। এই ত্রিশ বছর বয়সে এসে এগুলো আর কোনো ব্যাপার নয়। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে ববিয়ে হয়েছিল তাঁর। সেই থেকে আজ অবধি এই হোটেল আর হোটেলের কাজ শেষ হলে তাঁর বর। এভাবেই বেশ কেটে যাচ্ছে তাঁর। কাজের চেয়ে বড় আর জীবনে কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, স্মার্টদিদির ভাল নাম মমতা গাঙ্গুলী। পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে সেফের চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন পাইস হোটেলের ব্যবসা। মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শী ব্যানার্জির পরিচালিত নতুন প্রজেক্ট ‘তিন সত্যি’-তে। তবে নন্দিনীদির ইচ্ছে নিউটাউন ও উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খুলবেন তিনি। এী মুহূর্তে বড় রেস্তরাঁর ব্যবসায় যদিও ইচ্ছে নেই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর।