সূর্যকে বাদ দিয়ে সেনগুপ্ত ফ্যামিলি পেল সেরা ফ্যামিলির পুরস্কার! এত বছর পর অর্জুনের মা এল ফিরে! বাবার ব্যবহারে অবাক সোনা

অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে এক নতুন গল্প নিয়ে পর্ব আসতে চলেছে। একদিকে যেখানে গল্পের সূর্য আর দীপার বিচ্ছেদ দেখানো হচ্ছে সেখানে অন্যদিকে অর্জুনের সঙ্গে এবার তার মায়ের দেখা হবে। সে কি আদৌ ফিরে পাবে তার মাকে?

আগের পর্ব দেখা যায় যে সোনা রুপার গুলো অনুষ্ঠান রয়েছে এবং সেই উপলক্ষে হামজার করেছিল তাকে সোনার নুপুর গড়িয়ে দিতে হবে। সূর্য দুই মেয়ের জন্য সোনার নুপুর নিয়ে আসে কিন্তু দীপা বলে সোনা পায়ে দিতে নেই মাথায় করে রাখতে হয়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দুজনের। সূর্য ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে চায় তবে তখন লাবণ্য সেনগুপ্তর সঙ্গে পরিবারের বাকিরা আসে এবং সূর্যকে আটকায়। সে অনুষ্ঠানে যায়।

সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যায় যে সোনা রুপার স্কুলে অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে এবং সূর্য দূর থেকে দর্শকের আসনে বসে দেখছে। অনুষ্ঠানে মঞ্চে সোনা, রুপা, উর্মি, জয়, দীপা ওঠে এবং তার সঙ্গে ডুয়েট গান গাইতে ওঠে অর্জুন। সেই গানের সঙ্গে নাচ করে উর্মি আর জয়। অনুষ্ঠানে শেষে আসে পুরস্কার বিতরণ। সোনা-রুপা অ্যান্ড সেনগুপ্ত ফ্যামিলি সেরা পরিবারের পুরস্কার। মঞ্চে সবাই ওঠে তবে মায়ের সাথে সূর্য তাদের বাবা থাকে না। তার জায়গায় থাকে অর্জুন।

অনুষ্ঠানের শেষে সূর্য ভাঙ্গা মন নিয়ে বেরিয়ে যায় সেখান থেকে। সোনা তোমার সঙ্গে দেখা করতে চায় এবং বাবার পেছনে পেছনে দৌড়ে যায়। তবে সে পড়ে গেলেও তাকে উপেক্ষা করে সূর্য গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। দীপাকে সোনা প্রশ্ন করে বাবাকে আগের মত তাদের আর ভালোবাসে না?

এদিকে গল্পে এক নতুন দিক আসতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মূল অতিথি নৃত্যশিল্পী পৃথা চক্রবর্তী যে অর্জুনের নিজের মা। অর্জুনের ছোটবেলাতেই সে সংসার ছেড়ে চলে গেছিল বিশেষ কারণে। বহু বছর পরে আবার মুখোমুখি। অর্জুনের কাকা সেটা দেখে অবাক। এদিকে মঞ্চে যখন অর্জুনের নাম ঘোষণা করা হয় তখন পৃথা অবাক হয়ে যায় আর মনে মনে বলে এই কি তবে আমার অর্জুন? মা নিজের হাতে ছেলেকে গলায় মেডেল পরিয়ে দেয় পুরস্কার হিসেবে। তারপর অর্জুনের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। অর্জুন এতে আরও অবাক হয়ে যায়। তারপরেই পৃথার নজর যায় দীপার দিকে আর সে চিনতে পারে দীপাকে। ওদিকে এতো ভালো অনুষ্ঠানের পর সেরা পুরস্কার পেতেই অভিভাবক ঘোষণা করে আজকে তার তরফ থেকে সেলিব্রেশন করা হবে। আর সে যে পারফর্ম করতে পারেনি তার একপ্রকার ক্ষতিপূরণ এটা। সবাই বেরিয়ে যাওয়ার সময় পৃথা দীপার কাছে আসে আর দীপা তাকে চিনতে পারে যে তার স্কুলে একবার এসে তাদের না শিখিয়েছিল কিন্তু দীপাকে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান থেকে বাদ দিয়েছিল। দীপাকে এটা বলতেই সে বলে তখন আপনার যেটা ঠিক মনে হয়েছিল আপনি সেটা করেছিলেন। দীপার এই অদ্ভুত জবাবে অবাক পৃথা যে তার মনে এতে পৃথার প্রতি কোনো খারাপ লাগা নেই।