সূর্য জানল অর্জুনই মিশকার বেবি ডেলিভারি করেছে! এত বছর পর দীপার জীবনে ফিরে আসা নিয়ে করছে সন্দেহ! সূর্যর বাবা করল ছেলেকে অস্বীকার
অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নতুন চরিত্র এসেছে যেখানে অর্জুনের জীবনের গল্প শুরু হয়েছে। ওদিকে সূর্য আর দীপার মধ্যে ঝামেলা শেষ হচ্ছে না এবং তাদের মাঝখানে পড়ে চরম কষ্টে রয়েছে সোনা আর রুপা।
কারণ অর্জুনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছে তার মা পৃথা চক্রবর্তী তবে সেটা পুরোটাই হয়েছে অজান্তে। তবে হুজুরের নামটা শুনতে পেয়ে আর সোনা রুপার স্কুলে অর্জুনের জেঠুকে দেখতে পেয়ে পৃথা মনে মনে কিছুটা আন্দাজ করেছে তবে এখন সে সমস্তটা মিলিয়ে নিতে চায়।
আজকের পর্বে দেখা যায় যে দীপা অর্জুনকে প্রশ্ন করে যে তার কি মায়ের কথা মনে পড়ে? অর্জুন বলে খুব একটা মনে পড়ে যে তা নয় তবে সে শুধু এটাই জানে যে তার মা একজন নৃত্যশিল্পী ছিল। তবে এখন অর্জুন জীবনে এগিয়ে যেতে শিখেছে। তার দাদা বৌদির মধ্যে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল। তার মাঝেই দাদা কেদারনাথ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এবং তার মৃতদেহ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বাবান আর বাবলিকে রেখে অর্জুনের বৌদি অন্য কোথাও চলে যায়। দীপার মনেও প্রশ্ন জাগে যে তার সোনা রুপার জীবনও কি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে?
এরপর দীপা ভেতরে যায় বাবানকে খাওয়াতে কিন্তু সে কিছুতেই খেতে চায় না একবার বলে খেলে তার বমি হয়ে যাবে আর একবার বলে গলা ব্যথা করবে। ওদিকে দীপা, তাকে নিজের হাতে খাওয়াতে গেলে সে অস্বীকার করে আবার দীপা যখন তাকে বলে সে নিজের হাতে খাবে তখন বাবলি বলে ভাই নিজের হাতে খেতে পারে না। দীপা তখন বাবলিকে বলে সে তার ভাইকে খাইয়ে দিক কিন্তু বাবলি তখন নিজের ঘরে চলে যায় আর দরজা বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যেই দেখা যায় সূর্য আবার দীপার বাপের বাড়িতে এসেছে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু দীপার শ্বশুরমশাই অর্থাৎ সূর্যের বাবা প্রবীরবাবু ছেলেকে ঢুকতে দিতে চায় না। বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এমনকি সূর্য বলে দীপা তো সুখে আছে তার বন্ধুর সঙ্গে। প্রবীরবাবু বলে এবার সে কবিরের মত অর্জুনকে নিয়েও সন্দেহ করছে। প্রবীরবাবু শেষে বলে তুই ওদেরকে সুখ দিতে পারলি না কিন্তু শান্তিতে থাকতে দে। এই কথাটা গায়ে লাগে সূর্যর এবং সে চলে যায়।
ওদিকে বাবলিকে বোঝাতে কোনওরকমে দীপা তার ঘরে ঢোকে কিন্তু কথা বলতে গিয়ে দেখে বাবলির ফোনের কাছে মাদকদ্রব্য রয়েছে এবং সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। দীপা সবটা বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে কিছু বলতে চায় না। বাইরে এসে সে বাবানকে বুঝিয়ে এমন কিছু খাওয়ায় যেটা খেলে তার চিবাতে হবে না আবার গলায় ব্যথা করবে না। সেটা খেয়ে নেয় বাবান। অবাক হয়ে যায় অর্জুন আর খোকা জেঠু। ওদিকে পৃথা অর্জুন আর দীপার জন্য অপেক্ষা করতে করতে শেষ পর্যন্ত সোনা তাকে জল দিতে গেলে তার গায়ে জল পড়ে যায় এবং পৃথা শেষ নিজের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এত রাত অব্দি অপেক্ষা করার পর যখন সে ফিরে যায় এবং সেটা যখন দিবা জানতে পারে তার মনে প্রশ্ন জাগে তার মানে কি পৃথা ম্যাডাম তাকে কিছু বলতে চায়?