অবশেষে সোনা-রুপাকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতেই ফিরল দীপা, সূর্যকে জড়িয়ে ধরল! অর্জুনকে সরিয়ে কি তবে এক হল সূদীপা?

এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে চলছে সোনা এবং রুপার অধিকার নিয়ে দীপা এবং সূর্যের মধ্যে লড়াই। সূর্য দুই মেয়েকে কাছে পেতে চায় কিন্তু দীপা ওই বাড়িতে তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চায় না যে বাড়িতে মিশকা রয়েছে। তবে সূর্য তাকে ভুল বোঝে এবং আইনি পথে এগোয় দুজনে।

ওদিকে গল্পে নতুন চ্যাপ্টার এসেছে অর্জুনের হাত ধরে। এতদিন পর অর্জুনের মা পৃথা ফিরে এসেছে কিন্তু কেউ কাউকে চেনে না। তবে অর্জুনের জেঠু পৃথাকে চিনতে পেরেছে। আর তাই অর্জুনের যেটুকু দেখেই তার মনে মনে চিন্তা শুরু হয় যে এই অর্জুন কি তারই সন্তান? এই নিয়ে সে দীপার সঙ্গে কথা বলতে চায়।

অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে আজকের পর্ব দেখা যায় যে সূর্য তার উকিলের কাছে গেছে। সূর্য তার উকিলকে বারবার বলে যাতে তার স্ত্রীর কোনো অপমান না হয় আদালতের মধ্যে। অবশেষে সূর্য একটা উপায় বের করে। সে উকিলকে দিয়ে বলে পাঠায় যে কোর্টে কেস গড়াতে চায় না সে। তার কোর্টের বাইরেই সেটেল করতে চায়। দীপার উকিলকে এই প্রস্তাব দিতেই দীপার উকিল রাতেই দীপার কাছে যায় আর এর কথা বলে। সকলে মিলে তাকে বলে সে যেন এই ঝামেলার মধ্যে না জড়ায়। তবে দীপা জানতে চায় সেই সেটেলের আসল প্রস্তাবটা কী। তাই সে যায় পরের দিন।

এর আগে দেখা যায় যে সূর্য নিজের ঘরে বসে নিজের মেয়েদের কথা ভাবছে। তার ভাবনার মধ্যেই দেখা যায় দুই মেয়ে তার কাছে এসেছে এবং দীপা তাদেরকে নিয়ে এসেছে নিজে। দুই মেয়েকে প্রাণ ভরে জড়িয়ে ধরে আদর করে সূর্য এবং তারপর দীপাকে দেখে চমকে যায়। দীপক দার কাছে যায় এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বহুদিন পর। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এটা পুরোটাই ছিল তার ভাবনা, আর তাই খুব সহজেই সেই ভাবনা ভেঙে যায় এবং বাস্তবের মাটিতে আবার আছড়ে পড়ে সূর্য। তার হাতে কাঁচের জলের গ্লাস ছিল। সেই গ্লাস ভেঙে যায় এবং কাঁচ ফুটে তার রক্তারক্তি কান্ড ঘটে হাতে।

এর পরেরদিন দেখা যায় সূর্য এবং দীপা দুজনের উকিলের সামনে সারা পরামর্শ করতে গেছে। তবে সেখানে আবার বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় দুজনের মধ্যে। সূর্য দিবার উকিলকে বলে যে দুই মেয়েকে নিয়ে শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গড়তে গেলে সারভাইভ করার জন্য যে টাকার দরকার সেই টাকা কি তার ক্লায়েন্ট জোগাড় করতে পারবে? পাল্টা দীপার উকিল বলে এক্ষেত্রে তার মনে হচ্ছে সূর্যর মধ্যে মেয়েদের জন্য ভাবনার থেকেও বেশি কাজ করছে মেল ইগো। পাল্টা এটাতে রেগে যায় সূর্য। দীপা তাকে পাল্টা বলে যে সেবার বুঝতে পারছে কেন তাকে এখানে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে হুমকি দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। সূর্যতাকে শান্ত হয়ে বসতে বলে এবং সবকিছু শুনতে বলে এবং তারপরেই বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বলে। তবে দীপা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ এবং তাই সে বলে এরপর যা কথা হবে সেটা আদালতে হবে। এপাশে অর্জুনের বাড়ি যায় বাবানকে খাওয়াতে আর তখন অর্জুনের সাথে কথায় কথায় বেরিয়ে আসে যে অর্জুনের ছোটবেলায় যেমন তাদের মা তাদেরকে ছেড়ে চলে গেছিল ঠিক তেমন বাবান আর বাবলির মা তাদেরকে ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেল। তাদের ছোটবেলাটাও নষ্ট হয়ে গেল। এটা শুনে চিন্তায় পরে দীপা।