অবশেষে জিতল মায়ের লড়াই, নাচে প্রথম হল দীপা! অর্জুনকে নিয়ে সূর্যের মনে নোংরা বিষ ছড়াতে শুরু করল মিশকা 

অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে এখন দমদার পর্ব চলছে। একদিকে মেয়েদের অধিকার ফিরে পেতে দীপার একার লড়াই আর অন্যদিকে মিশকা সূর্যের মনে আবার বিষ ঢোকাচ্ছে। দীপা মিশকার জন্য ওই বাড়িতে তার দুই মেয়েকে ফিরে যেতে চায় না। আর সূর্য দুই মেয়েকে দীপার থেকে কেড়ে নিতে চাইছে কারণ সে মেয়েদের ছাড়া থাকতে পারছে না।

আজকের পর্বে শুরুতেই দেখা যায় যে অনেক কষ্ট করে দিবা না যে প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে নাচ করার। তার আগে সে জন্মদিন উপলক্ষে গেট সাজানোর যে অর্ডার পেয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ করে নাচের প্রতিযোগিতায় আসার পরেও সূর্য ইচ্ছে করে যাতে দীপা না যেতে তার জন্য সমস্ত কিছু ভেস্তে দেয়। দীপা সেই খবর পায় এবং ছুটে গিয়ে কাজ শেষ করে আসতে আসতে দেরি হয়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা শেষের ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তবে শেষ সুযোগ পায় দীপা।

এবার দেখা গেল প্রতিযোগিতায় দীপার নাচে মুগ্ধ প্রতিটি দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছে। অবশেষে সামনে আসে ফলাফল। প্রথম হয় ভিক্টর চক্রবর্তী যে পৃথা চক্রবর্তীর ছেলে। এতে মুষড়ে পড়ে দীপা জয় উর্মি অর্জুন। দীপা ভাবে তার সমস্ত লড়াই হেরে যাওয়ার সাথে সাথে একটা মায়ের লড়াইও হেরে গেল। কিন্তু না, এখানেই ছিল একটা বড় চমক। ভিক্টরের সাথে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে দীপা। অবশেষে সেরার শিরোপা পেলো দীপা। সঙ্গে পেল পুরস্কার মূল্য।

সূর্য এখনো এই জয়ের কথা জানতে পারেনি। ওদিকে অনুষ্ঠানের মাঝে অর্জুন যখন দীপা কে এগত সাহায্য করছিল হাত ধরে। তখন সেই ছবি অন্যভাবে এক ক্যামেরাম্যান তুলে নিয়েছিল এবং সে মিশকার সঙ্গে দেখা করে টাকার বিনিময়ে সেই ছবিগুলো তাকে দিয়ে দেয়। মিশকা ছবিগুলো নিয়ে আসে এবং কুরিয়ার করার ব্যবস্থা করে যেগুলো সূর্যর হাতে এসে পৌঁছায়। সূর্য সেগুলো খুলে দেখতেই রাগে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় সেগুলো। এমন সময় সেখানে মিশকা আসে এবং সে বলে দীপা যেখানে অর্জুন সেখানে। এখানে অন্য গল্প নেই তো? সূর্যক পাখিরা সেখানে আসে এবং মিশকাকে এই কথা বলতে শুনে আবার বলে আবার সে কবিরের মত নোংরা খেলা খেলতে শুরু করে দিয়েছে নাকি? যদিও মিশকার এতে কিছু যায় আসে না এবং সে ক্রমাগত সূর্যের মনে বিষ ঢোকাতে থাকে। তাকে তাড়িয়ে দেয় সূর্য ঘর থেকে। কিন্তু মনে মনে এসে ভাবতে থাকে কার প্রশ্রয়ে দীপা এত শক্তি পাচ্ছে?

পুরস্কার জিতে বাড়ি ফিরে এসেই দীপা জানতে পারে সোনা, এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে যে একেবারে ঘুমিয়ে পড়েছে। তার মনে সন্দেহ হয় কারণ রুপা মায়ের জিতে ফিরে আসার খবরে দৌড়ে এসে মাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। দীপা মনে মনে বলে রুপাও গেছিল বার্থডে পার্টিতে কিন্তু সে টায়ার্ড হয়নি আর সোনা এত তাড়াতাড়ি টায়ার্ড হয়ে গেল যে সে শুয়ে পড়ল এসেই। তার মনে সন্দেহ হয়। সে ছুটে যায় সোনার কাছে। গিয়ে দেখে সোনা বারবার শুধু বলে যাচ্ছে বাবা তুমি এমন কেন করলে। দীপা জিজ্ঞাসা করে সোনাকে যে সে কি বাবার কাছে ফিরে যেতে চায়। সোনা বলে না বাবা একটা দুষ্টু লোক। এতে সবাই অবাক হয়ে যায় কারণ বাবা বলতে অজ্ঞান সোনা। সেই মেয়ে বাবার নামে এমন বলছে। অবশেষে নিজের অজান্তেই বাবাকে দেওয়া প্রমিস রাখতে পারে না সোনা। সে মুখ ফসকে বলে ফেলে যে বাবা তুমি গেটটা কেন ভেঙে দিলে। দীপার সন্দেহ হয় যে তাহলে কি ওই বার্থডে পার্টির গেটটা সূর্য নিজে এসে ভেঙেছে? উত্তর চাইতে সে ছুটে যাবে সেনগুপ্ত বাড়িতে।