আজকের ইন্টারনেটের যুগে ভাইরাল নন্দিনীদিকে (Viral Nandini Di) চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালান দিদি। ভাইরাল হওয়ার পরে দিদির জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে দেশে-বিদেশে। শীঘ্রই বড় পর্দায় দেখা যাবে নন্দিনী দিদিকে। তাও আবার নাকি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সহঅভিনেত্রী দিদি। মা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদে দুপুর তিনটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সব খাবার।
নন্দিনীদিকে টেক্কা দিতে বাজারে এসেছে আরও এক মুনমুনদি। বর্ধমানে একটি ঠেলা গাড়িতেই দোকান চালান তিনি। এই হোটেলে মটন-ফ্রায়েড রাইস ও মটন-পোলাও শুরু মাত্র ১০০ টাকা থেকে। মাছ-ভাত, সবজি ভাত কি না মেলে তাঁদের হোটেলে। খাবারের স্বাদ যেমন একঘর। দামও মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে।
কয়েকদিন আগেই এই নন্দিনীদি ও মিষ্টিদিকে চিনতে অস্বীকার করেছিলেন চাঁদপাড়ার মিষ্টিদি। এক ইউটিউবার তাঁকে প্রশ্ন করায় বলেছিলেন তিনি চেনেন না নন্দিনীদি বা মিষ্টিদির কাউকেই। দিনকয়েক ধরেই দুই দিদির মধ্যে চলছিল কন্ট্রোভার্সি। বিভিন্ন সময়ে ভার্চুয়াল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছিলেন দুজন। আর এবার কন্ট্রোভার্সি উস্কে দিলেন মুনমুনদি। এক ইউটিবার তাঁকে জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন, “আমি কাউকে চিনি না। তবে বলতে পারি আমার মটন কোনো দিদি দিতে পারবেন নাকি।”
প্রসঙ্গত, স্মার্টদিদির ভাল নাম মমতা গাঙ্গুলী। পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে সেফের চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন পাইস হোটেলের ব্যবসা।
মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শী ব্যানার্জির পরিচালিত নতুন প্রজেক্ট ‘তিন সত্যি’-তে। তবে নন্দিনীদির ইচ্ছে নিউটাউন ও উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খুলবেন তিনি। এী মুহূর্তে বড় রেস্তরাঁর ব্যবসায় যদিও ইচ্ছে নেই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর।