একসময় নাট্টমঞ্চে তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। পরপর কালজয়ী নাটকে চোখ জুড়ানো অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায় (Chanda Chattopadhayay)। নাটকের পাশাপাশি টেলিফিল্ম, বড় পর্দার চলচ্চিত্র, এমনকি টেলিভিশনেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। বর্তমানে খুব বেশি প্রচারের আলোয় না থাকলেও সম্প্রতি ডিডি বাংলার এই সাক্ষাৎকারে আসেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক বক্তব্য পেশ করেন অভিনেত্রী।
নাট্টমঞ্চে অভিনয়ের আগে জীবনের প্রথম পর্বে নাচের প্রতি ঝোঁক ছিল অভিনেত্রীর। নাচ শিখতেন, নাচ করতে ভালোবাসতেন। একসময় তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে নাটকে অভিনয় করার। অভিনেত্রী অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, “নাটক কী?” উত্তরে তিনি জানতে পারেন একটি বৃহৎ মঞ্চের বিবরণ। ছন্দা চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর বাবা-মা সবসময় ইন্ধন জোগাতেন। তাঁরা চাইতেন মেয়ে তাঁর ইচ্ছে মতো কিছু করুক।
তবে, অভিনেত্রীর ঠাকুরদার তাঁর নৃত্যানুষ্ঠানের প্রতি সম্মতি ছিল না। ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বলেন,
একসময় ঠাকুরদা বলেছিলেন, “ও বংশের কলঙ্ক। ওকে গুলি করে মেরে দাও।” তখনকার দিনে ঘরের মেয়েদের নাচ, অভিনয় সমাজের চোখে মান্যতা পেত না। তাঁর ঠাকুরদা সেই কারণেই মানতে পারেননি নাতনি বাইরে বাইরে অনুষ্ঠান করবে। যদিও মা বাবার সম্মতিতে নিজের অভিনয়ের স্বপ্নপূরণের সম্ভব হয় তাঁর।
অভিনেত্রী বলেন, প্রথম যখন তিনি নাটকের মহড়া দিতে আসেন নাটকের মঞ্চে উপস্থিত হন, তখন তাঁকে সরাসরি উৎপল দত্তের সামনে এসে দাঁড়াতে হয়েছিল। উৎপল দত্তকে দেখে নিজের নাম ভুলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। নাম বলতে পারলেও ভুলে যান পদবি। পরে যখন তিনি উৎপল দত্তের সঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করছেন তখন প্রথম দিনের কথা বারবার স্মরণে আসে তাঁর। অভিনেত্রীর কথা, উৎপলবাবু মঞ্চে অত্যন্ত সহজ ছিলেন অন্যদের সঙ্গেও আর অভিনয়ের সঙ্গেও।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিনয় জীবনের টানাপোড়েনের কথা তুলে ধরেন। তাঁর মনে পড়ে ‘পুরনো সেই দিনের কথা’। অভিনেত্রীর কথায় অভিনয়কে ভালোবাসতে হবে, প্রতিটি সংলাপ অত্যন্ত আদরের। তাঁদের ভালোবেসে আপন করলে মঞ্চের অভিনয় সাবলীল হয়। আজও তিনি স্বতস্ফূর্ত তাঁর অভিনয়ে। স্বপ্ন দ্যাখেন দর্শক দের জন্য আরও সুন্দর কাজ উপহার দেওয়ার।