মাঠানের সামনেই ঈশ্বরের নোং’রা মুখোশ টেনে খুলে দিল সন্ধ্যা! ধুন্ধুমার সন্ধ্যাতারায়

‘সন্ধ্যা তারা'(Sandhya tara) স্টার জলসার(Star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি। দুই বোনের গল্প নিয়ে জলসার পর্দায় হাজির হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। সন্ধ্যা, যে নিজের গোটা সংসার টানার জন্য মাঠে ঘাটে ঘুরে কাজ করে। আর তারা, একজন মেধাবী পরুয়া সে কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করে। পরবর্তীকালে দেখা যায়, দুই বোন অর্থাৎ সন্ধ্যা ও তারা আকাশনীলের প্রেমে পরে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় দুই বোনের স্বার্থ ত্যাগের কাহিনী।

ধারাবাহিকটির গত কিছু পর্বে দেখা গিয়েছে, আকাশের ফোনে ললিতার কথা শুনে ফেলে সন্ধ্যা। আর তারপর থেকে ভাবতে থাকে যে তারা আর অঙ্কন এই দুটি নামই তার খুব চেনা। এবং সে শোনে ফোনের ওই পাশে যে কথা বলছিল, সে বলেছিল যে অঙ্কনের প্রথম বউ এখানে আসবে। ব্যাস!নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে, বাইক নিয়ে সবার চোখের আড়ালে সে রওনা দেয় বাস স্টপের জন্য।

আরো পড়ুন: স্বামী বেঁচে থাকতেই শাঁখা,পলা খুলে সিঁদুর মুছে বি’ধ’বা’র সাজ দীপার! মন খারাপ দর্শকদের! অনুরাগের ছোঁয়ায় আসছে ধামাকা পর্ব

সেখানে পৌঁছে সন্ধ্যা দেখে যে ঈশ্বর অর্থাৎ সন্ধ্যার শশুর মশাই আর অঙ্কনের প্রথম বউ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আর তারপর থেকেই ঈশ্বরের প্রতি সন্দেহ জন্মায় সন্ধ্যার মনে। আগামী পর্বে দেখা যাবে, আকাশ ও মাঠানকে নিয়ে কামাখ্যাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় সন্ধ্যা। সেখানে গিয়ে কিছু অবাক করা জিনিসপত্র দেখে সে। কামাখ্যাদের বাড়িতে থাকছে একটি পরিবার। এসব দেখে বেশ হতবাক হয়ে যায় সন্ধ্যা।

অন্যদিকে, ললিতা কামাখ্যার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গিয়ে তাকে হুমকি দেয়। সে বলে কামাখ্যা যদি এই মুহূর্তে সন্ধ্যা সেখান থেকে না নিয়ে যায়, তাহলে তার মাকে মেরে ফেলবে অঙ্কন। বিজয়া সেই বাড়িতে ঈশ্বরকে না দেখতে পেয়ে মনে মনে বেশ শান্তি পায়। তারপরেই কামাখ্যা এসে বলে সে এতক্ষন যা বলেছে সমস্তটা মিথ্যে। সে অপজিশনের কথা অনুযায়ী গ্রামের প্রধান ঈশ্বরকে বদনাম করার জন্য এটি করেছে। তার কথা সবাই মেনে নিলেও সন্ধ্যার মন থেকে সন্দেহ দূর হয় না।

এমন সময় মাঠানকে ফোন করে শৈল বলে যে ঈশ্বরের একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার মাথা ফেটে গেছে। মাঠান, আকাশ ও সন্ধ্যা সেখান থেকে তড়িঘড়ি বেড়িয়ে যায়। কিন্তু তখনও সন্দেহ ঘোড়া ফেরা করতে থাকে সন্ধ্যার মনে। তাই বাড়িতে পৌঁছে ঈশ্বরের মাথার নকল ব্যান্ডেজ টেনে খুলে দেয় সন্ধ্যা। ঈশ্বরের এই মিথ্যে বলায় তার ওপর সন্দেহ আরও পাকা হয় সন্ধ্যা ও মাঠানের।