একের পর এক নতুন চমক দিচ্ছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। গল্পে আসছে একাধিক নতুন মোড়। মেয়ের চিকিৎসা আর নাচের স্কুলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। এই মুহূর্তে গল্পে চলছে টান টান উত্তেজনা। ভাইরাল হতে চলছে ভিক্টর-তিস্তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও।
ধারাবাহিকে দেখা যায়, বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে তিস্তা। যার সমস্ত দোষারোপ চাপে দীপার কাঁধে।কাকিয়া বলে, সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী দীপা। আর সে কারণে দীপাকে কথা শোনাতেও ছাড়েননা তিনি। ঘটনাটির প্রতিবাদ করে অর্জুন। সে বলে, আপনার মেয়ে চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়েছে বলে আপনার মাথার ঠিক নেই। দীপার এতে কোনো দোষ নেই। ও রোজ লড়ে চলেছে বাঁচার জন্য।
একদিকে অর্জুন আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে, দীপার পাশেও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের জীবনে যতই ঝড় আসুক তারা একে অপরের হাত ছাড়েনি। এসবের মাঝেই দের নতুন সংকট তিস্তা আর ভিক্টরের ভিডিও।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে, রূপার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে চলেছে। মেরুদণ্ডের নিচের টিউমারের জন্য কষ্ট পাচ্ছে দীপা। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে দেখে দীপা অর্জুনকে বললে সে জানায় রূপার রোগের সিম্পটমস এগুলো মাঝেমধ্যেই হবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। এদিকে রূপার রোগের চিকিৎসার টাকা তুলতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দীপা। সূর্যকে খুঁজে চলেছে সে।
কিন্তু সূর্য চায় একা থাকতে। দীপা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রেখে দেয় সে। মেয়ের অসুস্থতার কথাও মন গলাতে পারেনি তার। আর এসব দেখে চটে যায় অর্জুন। রূপাকে সুস্থ করার জন্য দীপার পিছনে ঢাল হয়ে ওঠে সে।
ধারাবাহিকের পরবর্তী এপিসোডে দেখা যাবে, অর্জুনের ইনস্টিউটের উদ্বোধন হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই। রয়েছে তিস্তা, তার বাবা-মাও। ইনস্টিউটের উদ্বোধন করবে দীপা। তখনই আসবেন ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর মিস্টার কুমার। যাকে দেখে রাগে গর্জে উঠবে দীপা।
মিস্টার কুমারকে দেখে দীপা বলে ওঠে, সে একজন জেল ফেরত অপরাধী। সে আবার জেল থেকে বেরিয়ে কারোর সর্বনাশ করতে চলেছে। এতগুলো ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ সে কিছুতেই খারাপ লোকটার হাতে ছাড়বে না। দীপার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সবাই। তবে শান্ত গলায় দীপার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
দীপা কিন্তু এই ক্ষমা প্রার্থনায় আশ্বস্ত হয় না। মিষ্টি কথায় ফের সুযোগ সন্ধান করছে মিস্টার কুমার। এসবের মাঝেই ঘনিয়ে আসে আরেক বিপত্তি। তিস্তার ফোনে তার এবং ভিক্টরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও আসে। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিস্তা। এসব বিষয় জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে দীপা। যদিও ভিক্টর এসে সকলকে বলে সে তিস্তাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চায়। এসব কোনোকিছুর সঙ্গে সে জড়িত নয়। যদিও দীপার মত নেই এই বিয়েতে।