আমাদের সমাজে মেয়েদের জীবনে বিভিন্ন সময় নানান পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রেই মানুষকে এক ধাক্কায় অনেকটায় পরিণত করে তোলে। তখন আর শিশু মন আর শিশু থাকে না, হয়ে ওঠে এক প্রাপ্ত বয়সের চিন্তা সম্পন্ন। এক্ষেত্রে একই কাহিনী চোখে পড়ছে স্টার জলসার (Star Jalsha) অনুরাগের ছোঁয়া(Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের রূপার মধ্যে।
বাবা নেই, মার ওপরই সমস্ত দায়দায়িত্ব। ছোট থেকে মাকে দেখেছে রূপা, তার মা সমস্ত পরিস্থিতিতেই লড়াই করেছে তাদের দুই বোনকে একটি সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ, শিক্ষা দেবার জন্য। মায়ের এই প্রতিদিনের সংগ্রামী হয়ত হটাৎ এক ধাক্কায় তাকে করে তুলেছে অনেকটা পরিণত। ভাবতে শিখিয়েছে তাকে জীবন নিয়ে, ভবিষ্যত নিয়ে।
অর্জুন প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে দীপার পাশে থাকার, তাকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা কিন্তু তাই আজ রূপার ছোটো মনে প্রশ্ন জেগেছে যে তার মা তো তাকে এবং সোনাকে দেখে রাখে কিন্তু তার মায়ের প্রয়োজন জীবনে এমন একটি মানুষের যে তার মাকে দেখে রাখবে। তার মায়ের খেয়াল রাখবে, যত্ন করবে। আজকের পর্বে এই প্রশ্নই করেছে রূপা সোনাকে।
তবে শুধু এটা ভেবেই থেমে নেই যে, সিদ্ধান্তও নিয়েছে মায়ের ভালোর কথা চিন্তা করে, অনেক ক্ষেত্রে বড়রাও যে সিদ্ধান্তটি নিতে পারেনা। সেই সিদ্ধান্তটিই নিয়ে দেখিয়েছে রূপা। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মায়ের আবার নিয়ে দেবে সে অর্জুনের সঙ্গে। সে লক্ষ্য করেছে অর্জুন কিভাবে তার পাশে থেকেছে সবসময় তাই মায়ের ভালোও কথা চিন্তা করে, মায়ের ভালোর জন্যই তার এই সিদ্ধান্ত। সত্যিই যে কাজটা অনেক বড়রাও করে উঠতে পারে না, ভাবতেও পারেনা, সমাজ – পরিস্থিতির কথা ভেবে রূপার মতো ছোট একটি মেয়ে করে দেখিয়েছে।
শিশু মনের আবদারে নয়, বরং বড়দের মত সুদীর্ঘ ভবিষ্যতেও কথা চিন্তা করেই এত বড় একটি সিদ্ধান্ত রূপার। একটা শিশু মন যে পরিস্থিতির কারণে কতটা পরিবর্তন হতে পারে, কতটা পরিণত হয়ে পারে রূপা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। তবে এখন দেখার পালা রূপা কি আদৌ পারবে তার মায়ের বিয়ে দিয়ে একটা নতুন জীবনে মাকে উপহার দিতে? নাকি হবে কোনও সমস্যা? বলবে ভবিষ্যত! তবে রূপার এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিচক্ষণতার প্রশংসা করছেন দর্শকরা।