পরিবারের সম্মান বাঁচাতে ভিক্টরকে মেনে নিল সেনগুপ্ত পরিবার! দীপার জন্যই সংসারের এই দশা কটাক্ষ অকৃতজ্ঞ লাবণ্যর
স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় (Anurager Chowwa) এই মুহূর্তে চলছে টান টান পর্ব। টিআরপিতেও (TRP) ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছে এই ধারাবাহিক। গত দুই সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় উঠে এসেছে প্রথম পাঁচে। ধারাবাহিকের গল্পে, ভিক্টর আর তিস্তা লুকিয়ে বিয়ে করেছে। দীপা চেষ্টা করেও তাদের বিয়ে আটকাতে পারেনি। কিন্তু পিঁড়ি থেকে তিস্তাকে টেনে তুলে আনতেও পিছপা হয়নি সে। কিন্তু সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে ভুল বোঝে দীপাকে। লাবণ্য সেনগুপ্ত বলেন, সেনগুপ্ত বাড়ির যাবতীয় সর্বনাশের জন্য দীপাই দায়ী।
সরাসরি দীপার সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দিতে চান লাবণ্য। সাফ জানান, সূর্যের সঙ্গে দীপার ডিভোর্স হয়ে গেছে। সূর্যও বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এখন দীপার সঙ্গে এই বাড়ির বা বাড়ির কারোর কোনো সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। এই বলে দীপাকে অপমান করেন লাবণ্য। দীপা আর অর্জুন লাবণ্য সেনগুপ্তের কথা শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবেন, এমন সময় ভিক্টরের প্রবেশ।
ইতিপূর্বে, আমরা জেনেছি টাকার লোভে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে ভিক্টর। তিস্তার একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। বিতর্কিত ভিডিও বানিয়েছে। তারপর সে এখন তিস্তাকে বিয়ে করতে চায়। আসলে সে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সে তিস্তার কাছে তাকে বিয়ে করা ছাড়া যেন অন্য পথ খোলা না থাকে।
কিন্তু শেষমেষ লাবণ্য সেনগুপ্তের তৎপরতায় সেনগুপ্ত বাড়িতে প্রবেশাধিকার পায় ভিক্টর। তর্কাতর্কির মাঝেই তিস্তা জানায়, সে ভিক্টরকে ভালোবাসে। তাই ভিক্টরের সঙ্গেই থাকতে চায়। তিস্তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হয়। তাই পৃথা তাকে নিজের গলার সোনার হার খুলে আশীর্বাদ করেন। ধুরন্ধর পৃথা ম্যারেজ রেজিস্টারকেও সঙ্গে এনেছেন যাতে ভিক্টরের প্ল্যান ফেল করার আর পথই না থাকে।
ওদিকে, দূর দেশে সূর্য নতুন জীবন শুরু করার চেষ্টায় আছে। অতীতের সব পিছুটান ভুলে নতুন করে বাঁচতে চায় সে। তবে আয়নার দিকে নিজের মুখ দেখে বিরক্তি আসে তার। তার চেহারা সে কোনোদিনই বদলে ফেলতে পারবে না। সূর্য নিজের কাছে এতটাই লজ্জিত। সোনার কথা বারবার মনে পড়তে থাকে তার। অন্যদিকে, অপমানিত দীপা ফিরে এসেছে সেনগুপ্ত বাড়ি থেকে। দুই মেয়েকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে ভাবতে থাকে পুরোনো কথা। সবকিছু কেমন স্বপ্নের মতো ছিল। আর আজ!