জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুল প্রমাণ করেছে রক্তের সম্পর্ক দিয়ে শুধুমাত্র সম্পর্ক হয় না। পরাগের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরেও শাশুড়ি মধুবালা আর ননদের পুতুলের সঙ্গে সম্পর্কে এতটুকু ফাটল ধরেনি। নিঃস্বার্থ ভাবে দুজনের কথা ভেবে গিয়েছে পুতুল। কিন্তু তার মধ্যেই হয় বিষ কেলেঙ্কারি। শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়াতে প্রমাদ গোনে প্রতীক্ষা।
প্রতীক্ষা পরাগের ভাই পলাশের স্ত্রী। শিমুলকে দুই চক্ষে সহ্য করতে পারেনা সে। এদিকে, শিমুলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর পরাগ তার ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে চার হাত এক করার ব্যবস্থা করতে থাকে। বিয়ের দিন সকালে হঠাৎই চা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চায়ে কেউ বিষ মিশিয়ে পরাগকে খুনের চেষ্টা করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই, পরাগকে খুনের অভিযোগের আঙুল ওঠে শিমুলের দিকে।
গ্রেফতার হয় শিমুল। তাকে জামিন করাতে উদ্যত হয়ে ওঠে তার বান্ধবীরা আর শতদ্রু। মধুবালাও প্রথমে ভুল বুঝেছিল শিমুলকে। কিন্তু ধারাবাহিকে গল্প যে দিকে গড়ায় তা থেকে এই মুহূর্তে সবার কাছে স্পষ্ট শিমুল ষড়যন্ত্রের শিকার। আসলে, শ্বশুর বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্যই ছিল যাবতীয় উদ্যোগ।
এদিকে, শিমুলকে কাছে না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ পুতুল। সারাদিন সে তার ‘বউ’-কে খুঁজে চলেছে। বউদি শিমুলকে সে ‘বউ’ বলেই ডাকে। তার অসুস্থতার কথা শুনে তাকে দেখতে আসে তীর্থঙ্কর। মধুবালা তাকে বলে, অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু পুতুল শকে আছে। ওর একমাত্র ওষুধ ওর বউ। নইলে,পুতুল সেরে উঠবে না।
এ কথা শুনে কোর্টে বিশেষ পারমিশান করতে ছোটে তীর্থ। কোর্ট পারমিশন দিলে শিমুলের সঙ্গে দেখা করতে যায়। মধুবালা মেয়ের প্রাণ ভিক্ষা চায় শিমুলের থেকে। শিমুল বলে, সে আর ওই বাড়িতে যেতে পারবে না। কারণ সমাজের চোখে সে এখন দাগি আসামি। তবে কি মধুবালাকে ফিরিয়ে দেবে শিমুল। পুতুলের অসুস্থতাও মন গলাতে পারবে না তার?