লাবণ্য সেনগুপ্ত আর প্রবীর দুজনে দীপাকে মেয়ে বলে মেনে নিয়েছে। সূর্য চলে যাওয়ার পর দীপা ছাড়া পরিবারের আপদে-বিপদে কেউ ঢাল হয়ে দাঁড়ায়নি। সেনগুপ্ত বাড়ির দখল নেওয়া থেকে প্রতীককে জামিন করানো, নিজের তৎপরতায় সবটা সামলেছে সে। জয় বা কাকীয়া হাজার কটাক্ষ দীপাকে দমাতে পারেনি। সব মিলিয়ে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-র (Anurager Chowwa) গল্পে নায়িকার জীবন টালমাটাল।
এদিন, প্রতীকের জামিন করিয়ে বীরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে দীপা। তার মনে হয় এই পরিস্থিতিতে ওই বাড়িতে বীরের অযত্ন হবে। তার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে আসেন লাবণ্য আর প্রবীরও। তারা এবার থেকে দীপার বাড়িতে থাকবে। তবে প্রথমে দীপা গাঁইগুঁই করলেও, লাবণ্য তাকে বোঝায় মানুষের জীবন অহরহ বদলে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সবটা অভ্যেস হয়ে যাবে।
সেনগুপ্ত বাড়ি ফিরে পাওয়া, প্রতীকের জামিন, সেনগুপ্ত পরিবারের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে। সেই আনন্দে এদিন ভ্যালেন্টাইন ডে ও সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে খিচুড়ি দিয়ে পিকনিক করছে দীপারা। অর্জুন আবার এদিনের শেফ। সোনা-রূপা, দীপা, অর্জুন, লাবণ্য-প্রবীর ছাড়াও বাকি দুজনকে দিয়ে হুল্লোড় করে চলছে পিকনিক।
তবে দীপা অন্যমনস্ক। মন মানছে না। ভাল লাগছে। খিচুড়ি বসাতে গিয়েও ভুল করে বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছিল। তবে অর্জুনের জন্য কোনোক্রমে দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়। এদিকে, ভালোবাসার দিনে লাবণ্যের জন্য উপহার এনেছে প্রবীর। সব মিলিয়ে মন ভাল করা পরিবেশ দীপার বাড়িতে।
অপরদিকে, সূর্য চলে যাওয়ার পর মায়ের মন ভাল নেই বুঝতে পারে সোনা-রূপা। দুই বোন জানে তাদের বাবা তাদেরকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে। তাই এখন তারা চায় অর্জুন যেন তাদের মায়ের খেয়াল রাখুক। সোনা-রূপা খুব করে চায় তাদের মাকে যেন অর্জুন নিজের ভালোবাসার কথা জানায়। অর্জুন কি এদিন মনের কথা বলে দেবে দীপাকে? নাকি সোনা
-রূপার মন রাখতে দীপাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলবে অর্জুন।