জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। এই ধারাবাহিক প্রথম দিকে তেমন জনপ্রিয় না হলেও ধীরে ধীরে ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়ছে। রাই ও নীলুর সম্পর্কের অবনতি অন্যদিকে শৌর্য্যের সঙ্গে নীলুর সম্পর্ক নতুন মাত্রা ধারাবাহিকের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল তিন বোনের গল্প অবলম্বনে। তবে ক্রমে সেই গল্পের গতি পরিবর্তন হয়েছে।
নিজের বোনের হাতে কলজে তুলে দিয়েছে রাই। দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গে বোন নীলাঞ্জনার বিয়ে দিয়েছে সে। কিন্তু বিয়ের পরই সবটা এলোমেলো হয়ে যায়। বোনের জীবন সাজাতে গিয়ে অপরাধী হয়ে ওঠে স্বয়ং রাই। বাড়ির সবার অপমান সয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া রাই পরিবারের মুখে ভাত তুলে দিতে শৌর্য্যের বাবার সেবা করতে নীলুর শ্বশুরবাড়িতে আসে। আর তারপরেই নীলুর কাছ থেকে জোটে চরমতম অপমান।
পরিস্থিতি ঠিক করতে রাই জানায় সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। আর সেই কথা শোনার পরেই শৌর্য্যের চোখে বিষ হয়ে ওঠে রাই। পুরনো প্রেমিকাকে ভুলে নিমেষে নীলুকে আঁকড়ে ধরে শৌর্য্য। শৌর্য্য রাইকে বলে, “আজ থেকে আমরা অনেক ভালো থাকবো।” দূর থেকে দাঁড়িয়ে খুশি হয় রাই। তবে অত্যাচার শেষ হয়না। রাইকে বাড়ির কাজের লোক বানিয়ে দেয় তারই বোন নীলু। শৌর্য্যের নার্স ছাড়াও সে ওই বাড়ির রান্নার লোক হয়ে ওঠে। সেই রান্নাতেও নুন মিশিয়ে সবটা নষ্ট করে দেয় নীলু।
সবার সামনে দিদিভাইকে অপমান করতে একটুও বাধেনা নীলুর। রাই কিছুটা বুঝতে পারলেও সে বোনের নাম মুখে আনে না। অন্যদিকে, শৌর্য্যের বাবা রাইকে বলে, তুমি তোমার কলজে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা শৌর্য্যকে বোনের হাতে তুলে দিয়েছো। আর তোমার বোন এটা করল তোমার সঙ্গে? রাই শৌর্য্যের বাবাকে জানায়, আঙ্কেলের সেবা করার জন্য সে কোনো অর্থ নেবেনা। কিন্তু শৌর্য্যের বাবা জানায়, আজ রাই অর্থ নিচ্ছেনা ঠিকই। কিন্তু একদিন তিনি এই উপকার রাইকে ফিরিয়ে দেবেন।
আরো পড়ুন: জলসায় বিরাট খবর! নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ফিরছেন দু’জন দাপুটে জনপ্রিয় টলি অভিনেতা!
অন্যদিকে, নীলু ও শৌর্য্য শারীরিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শৌর্য্য স্পষ্ট জানায় তাঁর আর কোনো পিছুটান নেই। তবুও নীলু-শৌর্য্যের রাত্রিকালীন বার্তালাপে রাইয়ের নাম বারবার উঠে আসে। এদিকে দরজার বাইরে থেকে সেই কথা শুনে চমকে ওঠে রাই। নীলু ঠিক করে, দিদিভাইয়ের প্রেমিককে সে ঠিক খুঁজে বের করবে।