জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) চলে এসেছে নতুন চমক, অয়নকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ণা। পুলিশ আর লটারির কোম্পানির লোকের ছদ্মবেশে পর্ণাদের দত্ত বাড়িতে চলে আসে পর্ণার অফিসের সহকারীরা। তারা আসে অয়নকে বলে তাদের তরফ থেকে একটা ভুল হয়েছে। এই টিকিটে টাকা আসেনি, অন্য বিজয়ীর লটারিতে টাকা এসেছে তাই তারা সমস্ত টাকাটা ফেরত নিতে চান। সেটা শুনেই অয়ন তাদের জানিয়ে দেয় তার কাছে কোনও টাকা নেই। বাবার শ্রাদ্ধ করতে গিয়ে সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গেছে।
তখন পুলিশ অধিকারিক সুনিতা ম্যাডাম অয়নকে বলে সমস্ত টাকা দিয়ে দিতে কিন্তু তাকে পরিষ্কারভাবে অয়ন জানিয়ে দেয় তার কাছে কোনও টাকা নেই। তখন তার ঘরে তল্লাশি করে পুলিশ আর পর্ণার সহকর্মীরা কিন্তু কেউই টাকা খুঁজে পায়না। সকলকে নিরাশ হয়ে চলে যাচ্ছে দেখে অয়ন আনন্দে নাচতে শুরু করে কিন্তু আসনে পা বেঁধে সে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল। তখন সে তুলসী মঞ্চে গিয়ে পরে। তুলসী গাছটাকে খানিক নিস্তেজ দেখে পর্ণা ভাবে তাহলে কি জল যাচ্ছে না তুলসী গাছের নিচে।
তখনই পর্ণা বলে ওঠে তুলসী গাছের নিচে রয়েছে সমস্ত টাকা। সেটা শুনেই অবাক হয়ে যায় অয়ন। মৌমিতা অয়নকে দেখে জিজ্ঞাসা করে পর্ণা সত্যি বলছে। অয়ন বলে হ্যাঁ। তখনই মৌমিতা চলে যায় তুলসী গাছ আটকাতে। পর্ণাকে সুনিতা ম্যাডাম বলে তুলসী তলায় দেখতে। কিন্তু পর্ণার রাস্তা আটকে দেয় অয়ন। সে পর্ণাকে থাপ্পর মারতে যায় কিন্তু তখনই তার হাত ধরে নেয় কৃষ্ণা। সে বলে এত খারাপ মানুষ কেউ কি করে হতে পারে যে ভাইয়ের পোয়াতি বউয়ের গায়ে হাত তুলছে। তিনি অয়নকে এও বলেন যদি যে তিনি ভালোয় ভালো কিন্তু খারাপে খুব খারাপ। তাই তার থেকে সাবধানে থাকতে।
তখনই জেঠুও বলেন তাকে মারতে। পর্ণা এগিয়ে যায় তুলসী তলায়। মৌমিতাকে আটকে দেয় পুলিশ। পর্ণা গিয়ে ওই জায়গাটা দেখতেই খুঁজে পেয়ে যায় টাকা। তখন সৃজন পর্ণাকে বলেন টাকা তো তারা পেয়েছেন কিন্তু তখনও এটা প্রমাণ হয়নি যে টিকিট অয়ন চুরি করেছিল তখন পর্ণা বলে সবই প্রমাণ হবে। তখনই টিকিটের অধিকার বলে আপনার কপাল খারাপ। এই নম্বরের উল্টো নম্বর জিতেছে। তখন অয়ন বলে সেটা তারই নম্বর ছিল। সে মৌমিতা আর তার ছবি দেখায় টিকিট সহ।
আরো পড়ুন: ধুরন্ধর মেয়ে! সোজা আঙুলের বদলে আঙুল বেঁকিয়ে ঘি তুলল সে! ছলে-বলে-কৌশলে সূর্যকে বিয়ের পিঁড়িতে তুলল ইরা
অয়ন বলে সে সৃজনের ঘর থেকে টিকিট চুরি করেছিল, সে যদি সৎ থাকত তাহলে এটা হত না। তখন সেটা শুনেই সৃজন লটারির টিকিট জিতেছে শুনে খুশিতে লাফাতে থাকে। সৃজনকে এতটা খুশি দেখে পর্ণাও খুব খুশি হয়। অয়ন ভাবতে থাকে সে বেফাঁস হয়ে সবটা বলে দিল। কৃষ্ণাও সৃজনকে এতটা আনন্দে দেখে খুব খুশি। সুনিতা বলে অয়নের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা উচিত ছিল দত্ত বাড়ির কিন্তু পর্ণা তাকে বারন করে দেয়। পুলিশ আর সবাই সকলকে সবটা বলে চলে যায়। অখিলেশ দত্ত পর্ণাকে বলে তার গোয়েন্দা হওয়া উচিত ছিল। আর ছেলেকে মারতে পারবে ভেবেই তিনি খুব খুশি হন। কৃষ্ণাও মনে মনে ভাবেন এবার সবটা ভালো হবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের অবশেষে কি একটু একটু করে সত্যিই পর্ণাকে মেনে নেবে কৃষ্ণা?
View this post on Instagram